২০ অক্টোবর, ২০১৮ ১৭:৪০

মালয়েশিয়ায় শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপিত

মালয়েশিয়া প্রতিনিধি

মালয়েশিয়ায় শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপিত

গত বছরের ন্যায় এবারও উৎসব মুখর পরিবেশে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুয়ালালামপুরের ব্রিকফিল্ড স্বামী বিবেকানন্দ আশ্রমে প্রবাসী বাংলাদেশি ও কলকাতার হিন্দু সম্প্রদায়ের যৌথ আয়োজনে তৈরি করা হয় পূজা মণ্ডপ। 

প্রতিদিনই পূজামণ্ডপে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভক্তদের প্রার্থনা ও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন চলে। রাজধানী কুয়ালালামপুর ছাড়াও সেলাংগর প্রদেশসহ অন্যান্য প্রদেশ গুলিতে ভারত ও নেপালের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন অস্থায়ী মণ্ডপ নির্মাণ করে দুর্গাপূজা পালন করেছে । 
দুর্গাপূজায় মণ্ডপগুলোতে মহালয়া, দেবী বোধন ও শ্রী শ্রী দুর্গাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী, বিজয়া দশমী ও শ্রী শ্রী লক্ষ্মী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। নবমী তিথিতে যথাবিহিত পূজা অর্চনার পর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিজর্সনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটে।

মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পূজামণ্ডপ পরিদর্শন ও হিন্দু ধর্মালম্বীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, পূজা উদযাপন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা শংকর চন্দ্র পোদ্দার ।

এসময় তিনি আরও বলেন, দুর্গাপুজার অন্তর্নিহিত বাণীই হচ্ছে হিংসা, লোভ ও ক্রোধরুপী ও সুরকে বিনাশ করে সমাজে স্বর্গীয় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যেখানে ন্যায় ও সুবিচার নিশ্চিত হবে। আমাদের হাজার বছরের ধর্মীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাণী বিদেশের মাটিতে এ দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরতে ইতিবাচক ভুমিকা পালন করবে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উস্কানির মুখে বাংলাদেশ এখনও সমাজ ও রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে অসাম্প্রদায়িক চরিত্র ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের সবার দায়িত্ব এই আবহাওয়া এই উদারতাকে ধরে রাখা।

প্রতিটি পূজা মণ্ডপে প্রবাসী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়। পূজা চলাকালে প্রতিটি মণ্ডপেই অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও নাট্যানুষ্ঠান, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান, ভোগ আরতির আয়োজন করা হয়। কোথাও কোথাও হয় আরতি প্রতিযোগিতা। 

   
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর