১১ নভেম্বর, ২০১৮ ১৬:০৪

বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে নিউইয়র্কে চিত্রপ্রদর্শনী

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক

বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে নিউইয়র্কে চিত্রপ্রদর্শনী

বাংলাদেশের হৃদয় দোলানো মনোরম পরিবেশ-প্রকৃতির সাথে প্রবাস প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দিতে নিউইয়র্কে চলছে ১৫দিনব্যাপী ‘একক চিত্র প্রদর্শনী।’ প্রখ্যাত শিল্পী ইসমাইল চৌধুরীর এ প্রদর্শনী ১ নভেম্বর থেকে শুরু হলেও এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় গতকাল শনিবার সন্ধ্যায়। জ্যাকসন হাইটসে কিং প্লাজায় ‘হৃদম অব নেচার’ শীর্ষক এ প্রদর্শনীতে প্রতিদিনই বিপুলসংখ্যক প্রবাসীর সমাগম ঘটছে। নতুন প্রজন্মের উপস্থিতিও লক্ষণীয়।

বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে ফিতা কেটে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন নিউইয়র্কে বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ও রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগকারী মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, শিল্পী ইসমাইল চৌধুরীর তুলিতে অসাধারণ রূপে ফুটে উঠেছে বাংলার অপরুপ সৌন্দর্য। ভিন্ন পরিবেশে জন্মগ্রহণকারি অথবা বেড়ে উঠা আমাদের সন্তানেরা এসব দেখে মা-বাবার দেশ সম্পর্কে নির্মল আনন্দদায়ক একটি ধারণা পাচ্ছে। মাঝেমধ্যেই এমন প্রদর্শনী হওয়া উচিত বিভিন্ন দেশে।

চট্টগ্রাম চারুকলা কলেজ থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পর ইসমাইল চৌধুরী জাপানে গিয়ে পেইন্টিং-এ গ্র্যাজুয়েশন করেন টকোহা গাকোয়েন ইউনিভার্সিটি থেকে। এর আগে ২০০২ সালে ঢাকায় তার একক চিত্র প্রদর্শনী হয় ন্যাশনাল মিউজিয়ামে। আর এবারের এটি হচ্ছে তার একক ৩৮তম চিত্র প্রদর্শনী। ২০১৫ সালেও এই শিল্পীর আরেকটি প্রদর্শনী হয়েছে নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স লাইব্রেরিতে।

চাঁদপুরের সন্তান ইসমাইল চৌধুরী বলেন, অর্থের জন্যে আমি প্রদর্শনীর আয়োজন করি না। আমার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রবাসের বাঙালি প্রজন্মকে বাংলার অপার সৌন্দর্যমণ্ডিত প্রকৃতির সাথে পরিচিত করা। জাপানে আমার একটি আর্ট গ্যালারি রয়েছে। সেখানে নিয়মিত প্রদর্শনী হয়ে থাকে। ফুকুরই সিটি মেয়র হিদিওকি হারাডোর সহায়তায় ২০১৭ সালে সেই গ্যালারি স্থাপনে সক্ষম হয়েছি। যৌথভাবে আরেকটি গ্যালারি রয়েছে কাঠমুন্ডুতে।

ইসমাইল বলেন, জাপানিরাও প্রকৃতিকে খুব ভালবাসেন। আমি আমার শিল্পকর্মের মাধ্যমে জাপান ও বাংলাদেশের প্রকৃতির তুলনামূলক একটি অবস্থান উপস্থাপনের চেষ্টা করে আসছি। ইতিমধ্যেই জাপানিরা লুফে নিয়েছেন আমার চিত্রকর্মগুলো।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রবাস প্রজন্মের পক্ষে দেয়া বক্তব্যে লুবনা চৌধুরী বলেন, নানাবিধ কারণে যারা মা-বাবার দেশে যেতে পারছে না, তাদের কাছে বাংলাদেশকে চমৎকারভাবে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় অবলম্বন বলেই মনে করছি।

১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই প্রদর্শনী এবং এজন্যে কোন প্রবেশ পত্রের প্রয়োজন হয় না। 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর