১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৫:০২

জাতিসংঘে ফের বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন পাশ

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক

জাতিসংঘে ফের বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন পাশ

প্রতিবছরের ন্যায় এবারও জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ১২ ডিসেম্বর বুধবার বাংলাদেশ উত্থাপিত 'শান্তির সংস্কৃতি' রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে স্থায়ী মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম রেজুলেশনটি উপস্থাপন করেন।

প্রস্তাব উপস্থাপনকালে উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ সনদে বর্ণিত মূল্যবোধ ও নীতিসমূহের প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ রয়েছে এবং শান্তির সুরক্ষা ও প্রসারে  আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়টিতে সর্বদাই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি সকলকে সাথে নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন।

আরিফুল ইসলাম বলেন, ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশনটির ২০তম বার্ষিকী। এটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের জন্য ৭৩তম সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্টকে একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম আয়োজনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রতিষ্ঠার বৈশ্বিক আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে সদস্য দেশসমূহের অংশীদারিত্বভিত্তিক যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, কুড়ি বছর পূর্তি উদযাপনের এই অনুষ্ঠান তা পূনঃনবায়নের সুযোগ এনে দিবে মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি।

উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, সকল মানুষই ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রত্যাশী। আর শান্তির সংস্কৃতি’র বিকাশ ও চর্চার মাধ্যমেই বিভেদ এবং বিভাজনের মতো বিষয়গুলোর সৃজনশীল সমাধান করা সম্ভব।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ১৯৯৯ সালে শান্তির সংস্কৃতি' ধারণাটি প্রথম উপস্থাপন করে যা সাধারণ পরিষদে রেজুলেশন হিসেবে পাশ হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে 'শান্তির সংস্কৃতি দশক' বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হচ্ছে। ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ রেজুলেশনটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে আসছে যা প্রতিবছরই সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হচ্ছে। এই প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘অসহিষ্ণুতা ও ঘৃণা সমাজ থেকে দূরীভূত হলে বিশ্বে শান্তি দীর্ঘায়িত ও সুপ্রতিষ্ঠিত হবে।’

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর