২০ জানুয়ারি, ২০১৯ ১২:৪০

নিউইয়র্কে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ২০ বছর পূর্তি উৎসব

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক

নিউইয়র্কে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ২০ বছর পূর্তি উৎসব

অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ রচনায় প্রবাসের সাংস্কৃতিক কর্মীদের ঐক্যের বন্ধন সুসংহত করার সংকল্পে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উত্তর আমেরিকা শাখা তার ২০ বছর পূর্তি উৎসব করেছে। 

এ উপলক্ষে শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে নিউইযর্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে জুইস সেন্টার মিলনায়তনে এক চিত্র প্রর্দশনী 'সত্তার খনন', একক আবৃত্তি, সঙ্গীত, নৃত্য এবং আলোচনা অনুষ্ঠান হয়। সর্বস্তরের বিপুলসংখ্যক প্রবাসী এতে অংশগ্রহণ করেন।

বর্ণিল এ আয়োজনে অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘সাংস্কৃতিক জাগরণের মধ্য দিয়েই সুন্দর একটি সমাজ বিনির্মাণ করা সহজ হয়। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। মুক্তিযুদ্ধ থেকে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং জঙ্গিবাদ নির্মূলে সাংস্কৃতিক কর্মীদের ভূমিকা সর্বজনবিদিত।’

নিউইয়র্কের স্টেট এ্যাসেম্বলিওম্যান ক্যাটালিনা ক্রুজ এবং কেন্দ্রীয় জোটের সহ-সভাপতি খ্যাতনামা গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর ও সাধারণ সম্পাদক আবৃত্তি শিল্পী আহ্কাম উল্লাহও বক্তব্য রাখেন জোটের সামগ্রিক কার্যক্রমে প্রবাস প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করার আলোকে। স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, উত্তর আমেরিকা’র আহ্বায়ক মিথুন আহমেদ।

মাত্র এক মিনিটের দলীয় নৃত্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। এরপর আনন্দধ্বনীর সমবেত শিল্পীরা ‘অন্তর মম বিকশিত করো’,‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে’ ও ‘লাঞ্ছিত নিপীড়িত জনতার জয়’ গান তিনটি পরিবেশন করেন।

ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে 'সত্তার খনন' শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। ঢাকা থেকে শিল্পী জামাল আহমেদ,  মুস্তাফা খালিদ পলাশ, নাজিব তারেক ও  ফারহানা বাপ্পীর ছবি ও নিউইয়র্কের অধ্যাপক মতলুব আলী, টিপু আলম, কচি সহ বিভিন্ন শিল্পীর মোট ৩০টি শিল্পকর্ম স্থান পায় এ প্রদর্শনীতে। 

অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন সাংস্কৃতিক কর্মী মিনহাজ আহমেদ শাম্মু ও সেমন্তী ওয়াহেদ। ব্যবস্থাপনায় ছিলেন টিপু আলাম, শুভ রায়, গোপাল স্যানাল, ফাহিম রেজা নুর প্রমূখ।

২০ বছর পূর্তিতে শুভেচ্ছা জানিয়ে সমবেত অতিথিরা বলেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কথাটি উচ্চারিত হলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে একটি সংগঠনের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, সংগ্রামের কথা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে জঙ্গীবাদ মৌলবাদকে রুখে দাঁড়াবার কথা।  

বক্তারা বলেন, ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠনটি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, ধর্মান্ধতা, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টিতে নিরন্তর সংগ্রাম করে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধসহ নিজস্ব সংস্কৃতি বিকাশে প্রবাসীদের উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে নিরলস প্রচেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।

 

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর