মানুষ স্বপ্ন দেখে; ভালোবাসে স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে উপর তলা স্পর্শ করতে। আর তাইতো পরিবার পরিজনকে একটু সুখে রাখতে আর সমৃদ্ধ করতে পাড়ি জমায় আপন সীমানা ছেড়ে দূর প্রবাসে। কিন্তু কে জানতো পরিবারের সব স্বপ্ন ভেঙে দিয়ে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটি ফিরে আসবে গুরুতর আহত হয়ে।
প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বিমানে শুয়ে সময় কেটেছে অত্যন্ত দুর্বিষহ যন্ত্রণায়। পাঁচশ যাত্রীর কেউ না, কেউ একটু পরপর এসে বেলালের খোঁজ-খবর নেন। অনেককেই বলতে শুনে যায় বেচারা বেলাল স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলেন সোনালী ভবিষ্যতকে আপন করতে। কিন্তু না; সেই স্বপ্নকে পদ দলিত করে অসহায় মৃতপ্রায় দেহটাকে নিয়ে বিমান আজ ফিরছে দেশের সীমানায়। এ বাস্তবতাকে মানতে যেনো কষ্ট হচ্ছিল উপস্থিত সকলের।
অন্যদিকে দেশে বিমানবন্দরের বাহিরে অপেক্ষা করতে থাকা মৃতপ্রায় স্বপ্ন বঙ্গ বেলালের স্ত্রী এবং পরিজন। আহত অবস্থায়ও বেলালকে কাছে পেয়ে খুশির কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বাংলাদেশ বিমানের অসহযোগিতা আর অর্থাভাবে বিদেশ বিভূঁইয়ে হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় বেলাল পড়ে ছিল দীর্ঘ ছয় মাস। এই খবরে ফুঁসে উঠেছে ওমান প্রবাসীরা। তাদের একটাই দাবি রোগী-লাশ বিনা খরচে দেশে প্রেরণ। ওমান প্রবাসীদের প্রত্যাশা বেলাল তার পরিবারের কাছে ফিরে গিয়ে সুস্থ জীবন ফিরে পাক।
প্রবাসী সাংবাদিক এইচ এম হুমায়ুন কবির ও প্রকৌশলী সামসুল হকের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বুধবার রাত ১১টায় এমিরেটস এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দেশে পৌঁছে বেলাল।
বিডি প্রতিদিন/২১ জানুয়ারি ২০১৯/আরাফাত