ইয়েলো সোসাইটির সাধারণ সভায় কমিউনিটিভিত্তিক ঐক্য অটুট রেখে সংগঠনের সার্বিক কল্যাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সংকল্প ব্যক্ত করা হয়। মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্ক সিটির উডসাইডের শুলশান টেরেসে জমজমাট আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি মো. জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী ফেরদৌসের পরিচালনায় মঞ্চে অন্যদের মধ্যে ছিলেন- সহ-সভাপতি আবওয়াবুল চৌধুরী আরবাব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক টি হোসেন তোফা, কোষাধ্যক্ষ শাহেদুল হক রওশন, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ ফিরোজ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব চন্দ্র হালদার, ক্রীড়া সম্পাদক এ.কে.এম. মামুনুর রশিদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আনিস রহমান ফরিদ, দপ্তর সম্পাদক আবু হানিফ, প্রচার সম্পাদক হাফিজ আহমেদ এনজেল, কার্যকরী সদস্য মোরশেদ খান শিবলী, কবির হোসেন আলতাফ, শেখ ইলিয়াস হাবিব।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্কে ইয়েলো ট্যাক্সি ড্রাইভারদের কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত এই সোসাইটির সদস্য সংখ্যা আশানুরূপ না হওয়ায় মূলধারায় কাজের অনেক উদ্যোগই সফল হতে পারছে না। এজন্যে কর্মরত সকল ড্রাইভারকে এই সোসাইটির সদস্য হবার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সকল সদস্য, কার্যকরী কমিটি, সাবেক কর্মকর্তাবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আমরা কাজ করে থাকি। আমাদের প্রিয় সংগঠনকে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রয়োজন উদারতা। তিনি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যাবধি যেসব সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান । অসুস্থ সদস্যদের আশু রোগমুক্তি কামনা করেন এবং নতুনদেরকে শুভেচ্ছা জানান।
বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী ফেরদৌস। সম্পাদকের প্রতিবেদনে তিনি নতুন কমিটির অভিষেক, দায়িত্ব হস্তান্তর, বনভোজন, ইফতার পার্টি, ট্যাক্স ফাইল, কবরস্থান ক্রয়, স্মরনিকা প্রকাশ, মৃতব্যক্তির সহায়তা, পুনমির্লনী, অডিট ও নির্বাচন কমিশন গঠন, নিয়মিত বৈঠকসহ বিগত এক বছরের কার্যক্রমের বিবরণ দেন।
তিনি কাজের সহযোগিতার জন্য কার্যকরী কমিটি নেতৃবৃন্দসহ সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সকলের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে বিগত দিনে সংগঠন পরিচালনা করার চেষ্টা করেছি। আমাদের দায়িত্ব পালনে যতটুকু কাজ হয়েছে এর কৃতিত্ব সংগঠনের সকল সদস্যের। বর্তমান কার্যকরী পরিষদের সকলে ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক। যার ফলে আমাদের একটি বলিষ্ঠ টিম ওয়ার্ক ছিল। আমরা একে অন্যের বিপদ-আপদে সংগঠনের প্রয়োজনে যার যা দায়িত্ব ছিল তা যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সংগঠনের চাহিদা অনুযায়ী কাজের সুনিদিষ্ট পরিকল্পনা থাকলেও সময়ের অপ্রতুলতা সব কাজ করা সম্ভব হয়নি। এ জন্য তিনি সদস্যদের নিকট ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি কামনা করেন এবং সংগঠনের কল্যাণে সব সময় কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
বিডি প্রতিদিন/ এনায়েত করিম