১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১৬:২৪

তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে একরেম চেলেবির সাক্ষাৎ

আঙ্কারা, তুরস্ক

তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে একরেম চেলেবির সাক্ষাৎ

বাংলাদেশ-তুরস্ক পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের নব নিযুক্ত প্রেসিডেন্ট একরেম চেলেবি'র সঙ্গে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম, আল্লামা সিদ্দীকী সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার আঙ্কারাস্থ তুর্কী সংসদ সচিবালয়ে এক মধ্যাহ্নভোজ সভায় তারা এই সাক্ষাৎ করেন। 

একরেম চেলেবি'র সাথে আলোচনার শুরুতে রাষ্ট্রদূত নব নিযুক্ত প্রেসিডেন্টকে সম্প্রতি তুর্কী ভাষায় প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধের একটি স্মারক উপহার দেন। প্রায় এক ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বাংলাদেশ-তুরস্ক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় প্রাধান্য পায় এবং হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে সার্বিক উন্নয়নের বিষয়ে অবহিত করেন। এছাড়া তার উপস্থাপনায় স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও যুদ্ধ এবং অভ্যূদয় ও তার প্রেক্ষাপট, দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় অর্জিত অভিজ্ঞতা, বর্তমান সরকারের পরিচালনায় অর্জিত উন্নয়ন মাইলফলকসমূহ, ভারসাম্য ভিত্তিক ও অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়ন কর্মসূচী, গঠনমূলক পররাষ্ট্র নীতি, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংলাপে বাংলাদেশের ভূমিকা ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করেন। 

তিনি এসময় উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অপার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। অতঃপর তিনি বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্কের ঐতিহাসিক, ধর্মীয় এবং সামাজিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সম্পর্কের একটি ইতিবাচক মূল্যায়ন উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অগ্রযাত্রার বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ-তুরস্কের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আগামী দিনে আরও শক্তিশালী হবে মর্মে একরেম চেলেবি আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ এবং দূরদর্শী নেতৃত্বে আত্মপ্রত্যয়ী বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন প্রক্রিয়া এবং উন্নয়ন অর্জনসমূহের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
  
রাষ্ট্রদূত এবং একরেম চেলেবি উভয়ই বাংলাদেশ-তুরস্কের মধ্যেকার বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। চেলেবি অতিশীঘ্র বাংলাদেশ ভ্রমণের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশেও পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ গঠনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে রাষ্ট্রদূত একরেম চেলেবিকে অবহিত করেন। দু’দেশের জনগণের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন জোরালো করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে বলে তারা একমত হন। এসময় রাষ্ট্রদূতের সাথে দূতাবাসের কর্মকর্তা জনাব মোঃ রইস হাসান সারোয়ার, মিনিষ্টার এবং জনাব সবুজ আহমেদ, প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান উপস্থিত ছিলেন।

 

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর