২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১৬:৪৯

আমেরিকায় গভীর শ্রদ্ধায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে:

আমেরিকায় গভীর শ্রদ্ধায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

প্রবাস প্রজন্মে বাঙালি সংস্কৃতি জাগ্রত রাখতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হল যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায়। 

এ উপলক্ষে ২০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা ১মিনিটে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের উদোগে কুইন্স প্যালেস, জেবিবিএ ও জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর উদোগে পালকি পার্টি সেন্টার, বাংলাদেশ সোসাইটির উদ্যোগে গুলশান টেরেস, ব্রুকলীনে নোয়াখালী সোসাইটি ও চট্টগ্রাম সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠন, জ্যামাইকায় ফ্রেন্ডস সোসাইটি ও নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন, নিউজার্সির প্যাটারসন ও আটলান্টিক সিটি, পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়া, ফ্লোরিডা, লসএঞ্জেলেস, মিশিগান, শিকাগো, বস্টন, কানেকটিকাট, হাডসন, বাফেলো, হিউস্টন, ডালাস, আটলান্টায় শহীদ মিনার নির্মাণ করে একুশের প্রভাত ফেরীর পর শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। 

সকল অনুষ্ঠানেই প্রবাস প্রজন্মের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়। নিউইয়র্কে দিনভর তুষারপাত এবং রাতে বৃষ্টি সত্বেও দমাতে পারেনি প্রবাসীদের একুশের চেতনাকে। 

এ উপলক্ষে আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারী ছোট্টমণিদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা, বাংলায় বক্তৃতা প্রতিযোগিতা, বাংলা লিখন প্রতিযোগিতা এবং আবৃত্তি প্রতিযোগিতাও ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাইয়ের কর্মসূচিতে। 

নিউইয়র্ক অঞ্চলের ৩ শতাধিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক-পেশাজীবী-রাজনৈতিক সংগঠন সম্মিলিত কিংবা পৃথক উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও করেছে। 

উল্লেখ্য যে, বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারিতে মাতৃভাষার জন্য বাঙালির রক্তদানের অবিস্মরণীয় অধ্যায়কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পরিণত করতে উদ্যোগ নেন কানাডার ভ্যাঙ্কুবার প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, আব্দুস সালামসহ ৪ বাংলাদেশি। তাদের এ প্রয়াস ফলপ্রসূ হয় ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতাপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে। ২০১৩ সালের নভেম্বরে ইন্তেকাল করেছেন মাতৃভাষা দিবসের রূপকার রফিকুল, তার প্রতিও শ্রদ্ধা এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন বক্তারা। 

জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনে বুধবার রাত সাড়ে ৮টা থেকেই একুশের আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে ভাষা দিবস এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে আবৃত্তি, নৃত্যে অংশ নেয় স্থানীয় বিশিষ্ট শিল্পীরা। 

রাত ১২টা ১মিনিটে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে স্থাপিত শহীদ মিনারে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের নেতৃত্বে সকলে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এরপর বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসার নেতৃত্বে কন্স্যুলেটের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। সোনালী এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী জহুরুল ইসলামে নেতৃত্বে কর্মকর্তারা পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন শহীদ বেদিতে। উল্লেখ্য, এ দুটি অফিসের যৌথ উদ্যোগে একুশে উদযাপিত হলো। সেখানে প্রবাসের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজনও ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধারাও ছিলেন সরব। 

জেবিবিএ এবং জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর উদ্যোগেও সন্ধ্যার পর পালকি পার্টি সেন্টারে একুশে স্মরণে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এতে এলাকার ব্যবসায়ী ছাড়াও আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ, বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি, নর্থবেঙ্গল ফাউন্ডেশন, শাপলা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েটস, যশোর সোসাইটি, ঝিনাইদহ জেলা সমিতি, সুর-ছন্দ শিল্পীগোষ্ঠি, রূপসী চাঁদপুর ফাউন্ডেশন, সেক্যুলার ফোরাম, প্রবাসী সিরাজগঞ্জ ইউএসএ, প্রবাসী মতলব সমিতি, কুষ্টিয়া জেলা সমিতি, কক্সবাজার এসোসিয়েশন, তারার আলো, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অর্ধ শতাধিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। প্রবাসের শিল্পীরা একুশের গান পরিবেশন করেন। গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয় ভাষা শহীদদের। এ কর্মসূচির সমন্বয় করেছেন আহবায়ক-রাশেদ আহমেদ, সদস্য-সচিব-দেওয়ান মনির, যুগ্ম আহবায়ক-শাহ চিশতী, মো. কামরুজ্জামান বাচ্চু, যুগ্স সদস্য-সচিব-মিয়া মো: দুলাল, আবুল কাশেম, এম, রহমান, মানিক বাবু, বিপ্লব সাহা। 

সার্বিক সমন্বয়ে আরো ছিলেন মীর নিজামুল হক, হারুন ভূইয়া, সিরাজুল ইসলাম কামাল, মহসিন ননী, ফাহাদ সোলায়মান, আসেফ বারি টুটুল, জেবিবিএর সভাপতি আবুল ফজল দিদার, সেক্রেটারি কামরুজ্জামান কামরুল, জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর সভাপতি শাকিল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. আলম নমী, প্রদীপ সাহা, ইকবাল রশীদ লিটন, কাজী শামসুজ্জামান, মনসুর চৌধুরী, পিয়ার আহমেদ, কামরুজ্জামান বকুল, সেলিম হারুন, মোল্লা মাসুদ, রুহুল আমিন সরকার, বিদ্যুৎ দাস, জে মোল্লাহ সানী, এলিন রহমান, শাহাদৎ হোসেন, মোহাম্মদ হোসেন বাদশা, সাজ্জাদ হোসেন, সুবল দেবনাথ, শাহজাদা ইলিয়াস, নাজিরুল ইসলাম নাজু প্রমুখ। 

সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন হোসেন সোহেল রানা, কবীর চৌধুরী, সাখাওয়াত বিশ্বাস, গোপাল সান্যাল প্রমুখ। 

নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী এবং সহ-সভাপতি মাসুদ হোসেন সিরাজির নেতৃত্বে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদর্শণ করেন জ্যাকসন হাইটসের শহীদ মিনারে। সেখানে ফোবানার হোস্ট কমিটির পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। 

আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি লাবলু আনসার এবং সহ-সভাপতি আকবর হায়দার কীরন, নির্বাচন কমিশনের প্রধান রাশেদ আহমেদ, কমিশনার মিশুক সেলিম, প্রেসক্লাবের সদস্য নিহার সিদ্দিকী, ফারুক ও শহীদুল্লাহ কায়সারের নেতৃত্বে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয় এখানে। 

কুইন্স প্যালেসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের উদ্যোগে ‘সম্মিলিত মহান একুশ উদযাপন’ কর্মসূচিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন, সিলেট এমসি কলেজ এলামনাই, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বাপা, বহ্নিশিখা সঙ্গীত নিকেতন, সুর-ছন্দ শিল্পী গোষ্ঠি, বিপা, উদীচী, সঙ্গীত পরিষদ, বাফা, রঙ্গালয়, বাংলাদেশী সিভিল সার্ভিস সোসাইটি, এএবিইএ, বামনা, প্রবাসী বরিশাল বিভাগীয় কল্যাণ সমিতি, শরিয়তপুর সোসাইটি, মুন্সিগঞ্জ-বিক্রমপুর এসোসিয়েশন, নরসিংদী জেলা সমিতি, মিরসরাই সমিতি, বাংলাদেশী বুড্ডিস্ট ফেডারেশন, সবিতা মাদার এ্যান্ড চিল্ড্রেন ফাউন্ডেশন, কিশোরগঞ্জ ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, গোপালগঞ্জ ফাউন্ডেশন, ফেনী জেলা সমিতি, রায়পুর সোসাইটি, বেদান্ত সোসাইটি, প্রবাসী বেঙ্গলী খ্রিস্টান এসোসিয়েশন, নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশন, বগুড়া ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশন, মৈত্রি ফাউন্ডেশন, রংপুর জেলা এসোসিয়েশন, নেত্রকোনা জেলা সমিতি, পঞ্চগড় জেলা কল্যাণ সমিতি, বরগুনা জেলা সমিতিসহ শতাধিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক-পেশাজীবী সংগঠনের সম্মিলিত কর্মসূচিতেও বিপুল লোক-সমাগম ঘটে। 

একুশের চেতনায় এগিয়ে চলা বাংলাদেশের সমর্থনে ঐক্যবদ্ধ হবার সংকল্পও ব্যক্ত করা হয় এ অনুষ্ঠান থেকে। সমাজ থেকে অপ-সংস্কৃতি ঝেড়ে ফেলে প্রবাস প্রজন্মকে অসাম্প্রদায়িক-বাঙালি চেতনায় বেড়ে উঠার পরিবেশ তৈরীর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা। 

বরাবরের মত এবারও গভীর শ্রদ্ধায় উদযাপিত একুশের এই কর্মসূচির সার্বিক সমন্বয়ে ছিলেন মোল্লা মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ হোসেন খান, এম এ আজিজ নঈমি, তাজুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, সুলতান শাহরিয়রম আব্দুল্লাহ জাহিদ, গাজী সামসউদ্দিন, সাবিনা শারমিন নিহার, সাঈদা আকতার লিপি, এ্যানি ফেরদৌস, মেহের কবির, সবিদা দাস, ইমদাদুল হক, কাবেরী দাস, জীবন বিশ্বাস, ফরিদা ইয়াসমীন এবং সংগঠনের সভাপতি স্বপন বড়ুয়া ও সেক্রেটারি গোলাম মোস্তফা। 

একুশের প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদর্শনের আগে অনুষ্ঠিত হয় নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণে ১৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও একুশের চেতনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। 

ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগানিয়া কবিতা আবৃত্তিতে পুরস্কার পেয়েছে : ক গ্রুপে প্রথম রুমাইয়া আনসারী, দ্বিতীয় লামিন মুহিত এবং তৃতীয় এলিনা রহমান, খ গ্রুপে প্রথম মুন জাবিন হাই, দ্বিতীয় তাহিয়াতুল তাসবি এবং তৃতীয় তরুলতা দাসগুপ্ত। গ গ্রুপে প্রথম সামিয়া ইসলাম, দ্বিতীয় আওসাফ আহমেদ আয়ুস্মান এবং তৃতীয় আশরাফ অসীম। 

চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পেয়েছে : ক গ্রুপে প্রথম দু’জন রায়না বড়ুয়া এবং জেবা সামারা, দ্বিতীয় দু’জন এলিনা রহমান ও রাফিয়া এলমা, তৃতীয় দু’জন রুমাইয়া আনসারী এবং মানহা মঞ্জুর। খ গ্রুপে প্রথম দু’জন তরুলতা দাসগুপ্ত ও রাইফা ইয়াসমীন রুহা, দ্বিতীয় দু’জন তাঞ্জিব পারভেজ ও মুনজাবিন হাই এবং তৃতীয় দু’জন তাহিয়াতুল তাসবি ও রায়ানা সরকার। গ গ্রুপে প্রথম দু’জন অবন্তি দাসগুপ্ত এবং অনুজা বড়ুয়া, দ্বিতীয় দু’জন নাবিলা হামিদ ও সামিয়া ইসলাম, তৃতীয় দু’জন সুদীপ নন্দি ও রাফিয়া এলমা। ঘ গ্রুপে দু’জন প্রতিযোগিকেই প্রথম পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এরা হচ্ছে রুশমিকা নাবিহা এবং সুমাইয়া আলম। 
বাংলা লিখন প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পেয়েছে : ক গ্রুপে প্রথম এলিনা রহমান, দ্বিতীয় লামিম মুহিত এবং তৃতীয় শ্রদ্ধা সাহা। খ গ্রুপে প্রথম মুনজাবিন হাই, দ্বিতীয় মুত্তাকী উল্লাহ এবং তৃতীয় রাইফা ইয়াসমীন রোহা। গ গ্রুপে প্রথম সুদীপ নন্দী, দ্বিতীয় আওসাফ আহমেদ আয়ুস্মান এবং তৃতীয় রাইফা ইয়াসমীন রোহা। ঘ গ্রুপে প্রথম নাহরীন ইসলাম, দ্বিতীয় দু’জন রুশমিকা নাবিহা ও নূহা হাওসার এবং তৃতীয় লিয়োনা মুহিত। একুশের আলোকে প্রদত্ত বক্তৃতায় প্রথম মুনজাবিন হাই, দ্বিতীয় নূহা কাওসার এবং তৃতীয় হয়েছে অনুজা বড়ুয়া। 
ব্রঙ্কসে বাংলাবাজার এভিনিউতে গোল্ডেন প্যালেসে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মর্সূচির সমন্বয় ও নেতৃত্বে ছিলেন উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান প্রবাসী আইনজীবী মোহাম্মদ এন মজুমদার, মেম্বার সেক্রেটারী শাহেদ আহমেদ, উপদেষ্টা আব্দুস সহিদ, আব্দুল বাছির খান, মাহবুব আলম, আবদুল হাসিম হাসনু, হাসান আলী, আবদুল মুহিত, আহবাব চৌধুরী, আনোয়ারুল ভূইয়া,  চীফ কো-অর্ডিনেট এ ইসলাম মামুন, নজরুল হক, নুর উদ্দিন, বুরহান উদ্দিন, আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী খসরু, মোঃ শামীম আহমদ, ফরিদা ইয়াসমিন, রেক্সনা মজুমদার, কবি নাসরিন চৌধুরী, কবি জুলি রহমান, মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহমদ চৌধুরী, মুন্সী বশির উদ্দিন, তৌফিকুর রহমান ফারুক, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোজাফ্ফর হোসেন, আলাউদ্দিন পলাশ, মো. মাসুদ পারভেজ মুক্তা, বকতিয়ার রহমান খোকন, জসিম উদ্দিন, জহুরুল ইসলাম, তানিম চৌধুরী প্রমুখ।
এদিকে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে একুশে পালিত হবে ২৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার। ডিসি একুশে এলায়েন্স প্রতিবারের মত এবারও আয়োজন করবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ডিএমভি এলাকার সংগঠনগুলোর সম্মিলিত আয়োজনে ডিসি একুশে এলায়েন্স-এর সদস্য সংগঠন হচ্ছে: আমেরিকান এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার্স এ্যান্ড আর্কিটেক্টস, আমরা বাঙালী ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনক, বাংলাদেশ আমেরিকান কালচারাল অর্গানাইজেশন ডিসি, বাংলাদেশ আমেরিকান ইন্টেলেকচ্যুাল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন (বাইপো), বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি, বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ইনক, বাংলা স্কুল, বাংলাদেশী এন্ট্রেপ্রুনার্স সোসাইটি অব ট্যালেন্টস, বর্ণমালা শিক্ষাঙ্গন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই ফোরাম ইনক, ধ্রুপদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই ফোরাম ইনক, ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি ডি.এম.ভি. ইনক, ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি ইনক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন অব ডিসি, নিউজ বাংলা, পিপল এন টেক ফাউন্ডেশন, প্রিয়বাংলা ইনক এবং স্বদেশ বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের সাথে মিলিয়ে নিউইয়র্কে ২০ ফেব্রুয়ারি বুধবার বেলা একটা এক মিনিটে (বাংলাদেশে একুশের প্রথম প্রহর) জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে গত ২৭ বছরের মত এবারও অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন এবং বাঙালির চেতনামঞ্চ। তুষারপাতের মধ্যেই জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসাসহ কূটনীতিকরা শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরাও ছিলেন এ সময়। 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর