২২ মার্চ, ২০১৯ ১২:০৪

‘পরবর্তী ৩০ বছরের বাংলাদেশ : চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা’ স্লোগানে যুক্তরাষ্ট্রে কনফারেন্স

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে

‘পরবর্তী ৩০ বছরের বাংলাদেশ : চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা’ স্লোগানে যুক্তরাষ্ট্রে কনফারেন্স

এবারের সম্মেলনের প্রচ্ছদ। ছবি : এনআরবি নিউজ।

‘পরবর্তী ৩০ বছরের বাংলাদেশ : চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা’ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে একদল মেধাবী পেশাজীবী প্রবাসীদের উদ্যোগে ৩ দিনব্যাপী ‘বিডিআই-ইয়েল কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোর রাতে কানেকটিকাট রাজ্যে ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে কনফারেন্সটি শুরু হবে। 

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষভাবে পরিচিত মেধাবী প্রবাসীদের সমন্বয়ে ‘দ্য বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ইনিসিয়েটিভ’ তথা বিডিআই ১৯৯৫ সালে প্রথম সম্মেলন করেছে পেনসিলভেনিয়ার ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গে। এরপর ২০০৮ এবং ২০০৯ সালে হার্ভার্ডে, ২০১৩ এবং ২০১৫ সালে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলে-তে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন, জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক এবং বাংলাদেশ সরকারের নীতি-নির্ধারকরা অংশ নেন। 

বাংলাদেশের উজ্জ্বল সম্ভাবনাসমূহকে বাস্তবায়িত করার জন্যে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি এবং চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের গতি-প্রকৃতি নিয়ে স্ব স্ব ক্ষেত্রে অভিজ্ঞরা গবেষণামূলক প্রবন্ধ এবং মতামত উপস্থাপন করেন এই সম্মেলনে। পুরো সম্মেলনই শিক্ষণীয় হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রিয় মাতৃভূমির দায় মুক্তির অভিপ্রায়ে এই সম্মেলনকে মার্কিন প্রবাসীরা অন্যতম একটি অবলম্বন হিসেবে গ্রহণ করেছেন। 

এবারের সম্মেলনে সহযোগী হিসেবে পাশে দাঁড়িয়েছে ইয়েল ইউনিভার্সিটির ম্যাকমিলন সেন্টারের সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ কাউন্সিল। সম্মেলনে বাংলাদেশের অর্থনীতি, সুশাসন, শিক্ষা, পরিবেশ, স্বাস্থ্য, ব্যাংক-বিমা এবং নগরায়নের ওপর গবেষণামূলক ৫০টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে বলে বিডিআইয়ের পক্ষে ড. ফাইজুল ইসলাম এ সংবাদদাতাকে জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ, বিজ্ঞানী, গবেষক, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, এনজিও, নীতি-নির্ধারক, থিংক ট্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা এসব প্রবন্ধ তৈরি করে ইতিমধ্যেই সম্মেলনের ব্যবস্থাপকদের কাছে জমা দিয়েছেন। 

সরকার অথবা বিশেষ কোনো মহলের চাটুকারি নয়, কেবলমাত্র সত্যের সন্ধান ও বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে এগিয়ে চলার পরামর্শ প্রদানের লক্ষ্যে এই সম্মেলনে এবার বিশেষ সম্মান জানানো হবে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি সম্মেলনে উপস্থিত হতে না পারলেও ভিডিও কনফারেন্সে শুভেচ্ছা জানাবেন দ্বিতীয় দিনের সন্ধ্যার সমাবেশে। ‘২০১৭ সালের আজীবন সম্মাননা অ্যাওয়ার্ড’ পাবেন তিনি। ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয় বাংলাদেশের মানুষের জীবন-মানের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং কল্যাণে বিশেষ অবদানের জন্যে। 

এবারের সম্মেলনে বিষয়ভিত্তিক সেমিনার/আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন ‘আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ’র প্রেসিডেন্ট ড. গোলাম মাতব্বর, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. আতিয়ার রহমান, জাতিসংঘে সামাজিক এবং অর্থনীতি বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ড. নজরুল ইসলাম, সিপিডির মোস্তাফিজুর রহমান, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি ড. রেশমা হুসাম, নবেল উইমেন ইনিসিয়েটিভের শিরিন হক, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সোসাইটির ব্যারিস্টার সারা হক, নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ড. দিনা সিদ্দিকী প্রমুখ। 

উদ্বোধনী সেশনের সঞ্চালনা করবেন রাইস ইউনিভার্সিটির ড. ইলোরা সিহাবউদ্দিন এবং বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেবেন অথবা গবেষণামূলক প্রবন্ধ উপস্থাপনা করবেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মঞ্জুর আহমেদ,  ব্রাউন ইউনিভার্সিটির রুহুল আবিদ, ইয়েল ইউনিভার্সিটির ম্যাকমিলন সেন্টারের মুশফিক মোবারক, স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের উপ-প্রধান অঞ্জনী জেইন, হ্যান্ডারসন স্টেট ইউনিভার্সিটির হারুন এ খান, কানাডার ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটির নওরীন তাবাসসুম, ব্রুনেই’র  দারুসসালেম ইউনিভার্সিটির এ কে এম আহসানউল্লাহ, কানাডার লরেনটিয়ান ইউনিভার্সিটির সদেকুল ইসলাম, সিপিডির ফাহমিদা খাতুন, মোহাম্মদ আল হাসান এবং সৈয়দ ইউসুফ সাদত, ঢাকা ইউনিভার্সিটির মোহাম্মদ জিয়াউল হক মামুন, আবুরেজা এম মুজারেবা, ফারহানা কবীর, মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম, বেল্লাল হোসেন, এস এম আব্দুল্লাহ, মো. জাকিউল আলম, সায়েমা হক বিদিশা, এস এম আব্দুৃল্লাহ, জান্নাতুল ফেরদৌস, বাংলাদেশের ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস’র জহিরুল হক এবং আসিফ ইউ আহমেদ, নিউইয়র্ক স্টেট ইউনিভার্সিটির বিরুপাক্ষ পাল, বিডসের রিজওয়ানা ইসলাম, ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির তানভির পাভেল এবং পল্লব মজুমদার, নিউজিল্যান্ডের মেসি ইউনিভার্সিটির সৈয়দ আবুল হাসান, বস্টন ইউনিভার্সিটির নাফিসা হালিম, বাংলাদেশের প্রাইসওয়াটার হাউজ কুপার্সের মামুন রশীদ, ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির মিজানুর রহমান, ইউনিভার্সিটি অব নটরডেমের হেলাল মোহাম্মদ খান, ইয়েল ইউনিভার্সিটির হ্যারি ব্লেয়ার, জ্যাক বারনেট হাওয়েল, সাসেক্স ইউনিভার্সিটির নাওমি হোসাইন, বার্থ ইউনিভার্সিটির জিয়োফ উড, ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসেচুসেট্্স’র ইলোরা এইচ চৌধুরী, রাটগার্স ইউনিভার্সিটির রওশন ফাতেমা, বাফেলো ইউনিভার্সিটির নাদিম মুর্শিদ, লেসলী ইউনিভার্সিটির নাফিসা তাঞ্জিম, তুলন মেডিকেল সেন্টারের এ কে এম মুক্তাদির, ইউএনডিপির শেখ মনিরুজ্জামান, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর সৈয়দ সাদ আন্দালিব, এই ভার্সিটির নূর-ই ফয়জুননাহার, কাজি সাদিকা নূর, ডালিয়া রহমান, রুহি আন্দালিব হুদা, পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের আহমেদ আহসান, ব্রীজ ফাউন্ডেশনের নাতাশা ইসরাত কবীর এবং মোস্তাফিজুর রহমান, জাহাঙ্গির নগর ইউনিভার্সিটির আদিল মোহাম্মদ খান এবং মামনুনাহ জুবায়েদ, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পানি বিশেষজ্ঞ সুফিয়ান এ খন্দকার, মালয়েশিয়ার মাল্টিমিডিয়া ইউনিভার্সিটির শামিমা রায়হান মঞ্জুর, জাগো ফাউন্ডেশনের করবী রাকশান্ড ধুব, আইএফ আইসি ব্যাংকের শাহ আলম সরোয়ার, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের আনিস খান, জাতিসংঘ পপুলেশন কাউন্সিলের সাজেদা আমিন, ইউনিভাসিটি অব কেন্টের জাকি ওয়াহহায, আমেরিকা ইউনিভার্সিটির তনিমা আহমেদ এবং অর্ণব আলম, আরবান স্টাডি গ্রুপের দ্বৈত বনতুলশী, টেক্সাস টেক ইউনিভার্সিটির আরিফুল ইসলাম ভূইয়া, প্রেইরি ভিউ এ এম ইউনিভার্সিটির নাবিলা শামিম, আইসিএমএ’র লক্ষী রাণী কুন্ডু, কম্প্যুটার এইডেড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পার্থ মোদক এবং সুকোমল মোদক, ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিনের সাকিব মাহমুদ, ইউনিভার্সিটি অব ওয়েই কাটুরের গাজী এম হাসান, টিআইবির জাকির হোসেন খান, শাহজালাল ইউনিভাসিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজির আব্দুল হান্নান প্রধান, শামসুল আরেফিন এবং নওরোশ জাহান, লকহ্যাভেন ইউনিভার্সিটির মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলে ক্যাম্পাসের আহমেদ বদরুজ্জামান, সঞ্চিতা সাক্সেনা, কিউনি স্কুল অব ল’র এটর্নী সমতলী হক, ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারলিনার মিনু তেওয়ারি, লেবার ভয়েজের কহল গিল, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির সাঈদ আজিজ, ইউনিভার্সিটি অব ম্যারিল্যান্ড ইউনিভার্সিটি কলেজের ফাইজুল ইসলাম, আমেরিকান ইউনিভার্সিটির ফারাহ তাসনীম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সায়েরা ইউনুস, মাইদুল ইসলাম চৌধুরী, তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ। 

সেমিনারের হোস্ট বিডিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মুনির কুদ্দুস এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রহিম কাজীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসব সেমিনারের আলোকে পরবর্তীতে একটি সুপারিশমালা রচিত হবে-যা বাংলাদেশ সরকারের নীতি-নির্ধারকসহ আন্তর্জাতিক মহলে বিতরণ করা হবে। 

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর