২৬ মার্চ, ২০১৯ ১১:১৯

প্যারিসে গণহত্যা দিবস পালিত

মোসাদ্দেক হোসেন সাইফুল, ফ্রান্স

প্যারিসে গণহত্যা দিবস পালিত

ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে দূতাবাস আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন দূতাবাসের কর্মকর্তাসহ প্যারিসে বসবাসরত বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

মোমবাতি জ্বালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণের মাধ্যমে শুরু হয় গণহত্যা দিবসের আয়োজন। এ সময় ১৯৭১ সালের স্মরণে ৭১টি মোমবাতি জ্বালানো হয়। এরপর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং শ্রীমদ্ভগবতগীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক থেকে পাঠ করা হয়। পরে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের রূহের মাগফেরাত  ও দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয় এবং শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এসময় জাতীয় গণহত্যা দিবসের আয়োজনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পড়ে শোনানো হয়। পরে ‘একাত্তরের গণহত্যা ও বধ্যভূমি’ শিরোনামের একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।

অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন। 

শহীদদের স্মরণ করে তিনি বলেন, বিশ শতকের সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যা গুলোর মধ্যে একটি বাংলাদেশে সংগঠিত হয় কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়া দুর্ভাগ্যজনক। বর্তমান সরকার ২৫শে মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ ঘোষণা করেছে। এর কারণ ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী "অপারেশন সার্চলাইট" শুরু করে নিরস্ত্র ও নিরীহ বাংলাদেশিদের নির্বিচারে হত্যা করেছিল। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী এ স্বাধীকার আন্দোলনে পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা জাগরণের লক্ষ্যে এ গণহত্যা দিবস পালন করা হচ্ছে।

রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, সরকার বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বাড়াতে এবং বাংলাদেশের গণহত্যার স্বীকৃতি অর্জনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তিনি গণহত্যা সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা বাড়াতে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি আদায় নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করার জন্য সকলকে তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।

সবশেষে গণহত্যায় নিহত শহীদদের স্মরণে দূতাবাসের সব আলো নিভিয়ে এক মিনিট ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হয়।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর