১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১০:৪৩
জাতিসংঘ মিশনে ‘মুজিবনগর দিবস’র সভায় রাষ্ট্রদূত মুহিত

‘বিশ্ব জনমতকে বাংলাদেশের পক্ষে আনতে অত্যন্ত সফলতা দেখিয়েছেন’

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

‘বিশ্ব জনমতকে বাংলাদেশের পক্ষে আনতে অত্যন্ত সফলতা দেখিয়েছেন’

প্রতিবারের মতো এবারও জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ১৭ এপ্রিল বুধবার ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানটির শুরুতে মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদসহ জাতীয় চার নেতা, এ সরকারের প্রয়াত সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শুনানো হয়। 

বাঙালির মুক্তির ইতিহাসে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে অনুষ্ঠানটিতে প্রদত্ত বক্তব্যে জাতিসংঘে  বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, ‘জাতির পিতার নেতৃত্বে ২৩ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রাম বাঙালি জাতিকে মহান মুক্তিযুদ্ধের দিকে পরিচালিত করেছিল। আর ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে উজ্জীবিত হয়ে বাঙালি জাতি নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে শুরু করে। ঠিক সে সময়ে ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চলাইটের নামে পাকিস্তানী বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। পরবর্তীতে ২৬ মার্চে জাতির পিতার স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে বাঙালি জাতি ঝাঁপিয়ে পড়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে। ১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি ও আইনগত ভিত্তি স্থাপনে মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ছিল অসামান্য।’

মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্ব, কৌশল ও সময়োপযোগী দিক-নির্দেশনার ফলে মুক্তিযুদ্ধ দ্রুততম সময়ে সফল সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যায় মর্মে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, “মুজিবনগর সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলা করে বিশ্ব জনমতকে বাংলাদেশের পক্ষে আনা যা তারা অত্যন্ত সফলতার সাথে করতে পেরেছিলেন। এই সরকার বিশ্ব সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের পক্ষে আনতে বেশ কিছু সময়োযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাকিস্তানী দূতাবাসে কর্মরত বাঙালি কূটনীতিকরা যেন দ্রুত পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে মুজিবনগর সরকারের পক্ষে আনুগত্য প্রকাশ করেন, সে উদ্যোগ গ্রহণ করে”। 

এসময় তিনি মুজিবনগর সরকারের কূটনৈতিক সাফল্যও তুলে ধরেন। 

প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের মাঝে মুজিবনগর সরকারের ইতিহাস, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত মুহিত। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে আমরা স্ব-স্ব অবস্থান থেকে কাজ করে যাবো, মুজিবনগর দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার”।

উন্মুক্ত আলোচনাপর্বে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে প্রাণবন্ত আলোচনা করেন আলোচকগণ। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপনের এই অনুষ্ঠানে মিশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারি অংশগ্রহণ করেন। 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর