সংযুক্ত আরব আমিরাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে অবৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে একটি মহল। এদিকে চলতি অর্থ বছরে সর্বোচ্চ সংখ্যক রেমিট্যান্স প্রেরণ করেছে আরব আমিরাতের প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
এদিকে প্রবাসীদের প্রতি বাংলাদেশ দুবাই কনস্যুলেট ও কমিউনিটি নেতারা এসব প্রচারণা ও গুজবে কান দিয়ে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণের অনুরোধ জানিয়েছেন। সাম্প্রতিক বাংলাদেশের চলমান কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রেমিট্যান্সের গতি প্রবাহ কিছুটা স্থবির হয়ে গেলেও সংশ্লিষ্টদের অভিমত এই গতি আবারও সচল হতে পারে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক শ্রেণীর দুর্বৃত্তরা বাংলাদেশে রেমিট্যান্স না পাঠানোর জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার সাইট গুলোতে ছড়িয়ে পড়া এসব প্রচারণা প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে এক প্রকার বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেট কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন জানান, হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ প্রেরণ ধর্মীয়ভাবে হারাম। গুজব রটানোর কথায় প্ররোচিত না হয়ে হুন্ডি পরিহার করে বৈধ চ্যানেলে অর্থ গ্রহণ করার অনুরোধ করেন তিনি।
গুজবের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গুজবের জবাব দিতে হবে তথ্য দিয়ে। সত্যই হচ্ছে মিথ্যার বিপক্ষে সবচেয়ে বড় জবাব। এটি প্রবাসী বাংলাদেশিরা সবসময় দিয়ে এসেছে, এখনও দেবে। তারা আরও বেশি বেশি করে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশ প্রেমের প্রমাণ তারা দেখিয়ে দেবে।
তবে সাধারণ প্রবাসী ব্যবসায়িরা জানান, দেশের বিরুদ্ধে এই ধরনের প্রচারণাকে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেছেন। এসব নেতিবাচক প্রচারণা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরীর নীল নকশা বলে তারা দাবি করেন।
তারা বলেন, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন থাকায় বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। বাংলাদেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় আবারও রেমিট্যান্সের গতি প্রবাহ বাড়বে বলে প্রত্যাশা প্রবাসীদের।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল