হোম অফিসের ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট তিন দিন অভিযান চালিয়ে বেলফাস্টের দুটি এয়ারপোর্ট এবং ডক থেকে ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। সংগঠিত অপরাধ চক্রগুলোকে টার্গেট করে যুক্তরাজ্যজুড়ে কমন ট্রাভেল এরিয়া (সিটিএ) অভিযানের অংশ হিসেবে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কমন ট্রাভেল এরিয়া যুক্তরাজ্য, রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড, আইল অব ম্যান এবং চ্যানেল দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গঠিত। এর আওতায় যুক্তরাজ্য এবং আইরিশ নাগরিকরা এসব দেশে অবাধে ট্রাভেল করতে পারে। তবে কোনও বৈধ বা অবৈধ অভিবাসী ফ্রি ট্রাভেলের অনুমতি পায় না। কিন্তু গ্রেফতার হওয়া অভিবাসীরা অবৈধভাবে এই সিস্টেম ব্যবহারের সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে।
নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলসের হলিহেড এবং লন্ডনের লুটন এয়ারপোর্টে অভিযানের সময় ৩১ জন অভিবাসন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়। এই সময়ে অনেকগুলো ভুয়া পরিচয়পত্র-সহ নগদ প্রায় চার লাখ পাউন্ড জব্দ করা হয়।
হোম অফিস জানিয়েছে, তিন দিনের অভিযানে ১৪ জন মাইগ্রেশন অপরাধীকে বেলফাস্ট ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, বেলফাস্ট সিটি এয়ারপোর্ট এবং বেলফাস্ট ডকসে গ্রেট ব্রিটেনে ভ্রমণের চেষ্টা করার সময় সনাক্ত করা হয়। এদের মধ্যে সাতজন আলবেনীয়। তারা সবাই কমন ট্রাভেল এরিয়া সিস্টেমের সুযোগ নিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করে।
গ্রেফতারের আগের দিন ইরান থেকে আসা এক ব্যক্তিকে বেলফাস্ট সিটি এয়ারপোর্টে আটক করা হয়। হোম অফিসের ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্টের ইন্সপেক্টর জনি ইভান্স বলেন, এই অভিযানের টার্গেট ছিল সংগঠিত গ্যাংগুলোকে প্রতিরোধ করা এবং তাদের চেইন ভেঙে ফেলা। এই গ্যাংগুলো দীর্ঘ দিন ধরে দুর্বল মানুষ এবং শিশুদের শোষণ করে আসছে। এমনকি তাদেরকে আটকে রেখে জিম্মি করে তাদের পরিবারের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছে।
তিনি আরও বলেন, এখানে আসা বেশিরভাগ মানুষ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে আসছে। তবে যুক্তরাজ্যে আসার ক্ষেত্রে লিগ্যাল সিস্টেম রয়েছে। তাদেরকে সে অনুযায়ী আসতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/একেএ