হাজারো ভক্তের সমাগমে মুখরিত টরন্টো দুর্গাবাড়ি। ঢাক ও ধুঞ্চি নৃত্য এই মন্দির ব্র্যান্ড করেছে ইতোমধ্যে। এপার বাংলা ওপার বাংলার ভক্তরা ছুটে আসেন ধুঞ্চি আরতিতে অংশ নিতে। এবার এর ধারাবাহিকতা ছিল মৈনাক সেন ও প্রতিমা সরকারের তত্ত্বাবধানে এই পর্বটি মিলনের উৎসব হয়ে ওঠে। এর পর যথারীতি স্থানীয় শিল্পী ও দলের অংশগ্রহণের মধ্যে ছিল নৃত্য গুরু বিপ্লব করের দল ও তাদের নান্দনিক পরিবেশনা। চিত্রা সরকারের দলের পরিবেশনা ছিল উপভোগ্য। পুরো সন্ধ্যার সাংস্কৃতিক পর্বের সঞ্চালনায় ছিল জ্যোতি দত্ত পুরকায়স্থ। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ইভা নাগ ও চিত্রা সরকার।
সাংস্কৃতিক আয়োজনে অভয়া কাণ্ডের আর, জে, কর ও সীমান্তে বাংলাদেশের স্বর্ণা দাসকে বিষয় ভাবনায় এনে একটি পরিবেশনা ছিল ‘দুর্গা দশপ্রহরণধারিণী’ মাতৃশক্তির আরাধনায় মাটির পৃথিবীতে দুর্গাদের চলার পথ মসৃণ হোক, বিচারহীন সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে নারীর মর্যাদায় অবস্থান সুনিশ্চিত হোক এই ছিল উক্ত পর্বের বার্তা।
গ্রন্থনা ও পরিকল্পনা।সাংস্কৃতিক সংগঠক ও আবৃত্তিকার হিমাদ্রী রায়। নির্দেশনায় সীমা বড়ুয়া। নৃত্যে সীমা বড়ুয়ার দল ও গার্গী লাহেরি। আবৃত্তিতে এলিনা মিতা। বাদনে মামুন রশিদ। এই অংশের তত্ত্বাবধানে ছিলেন আরিয়ান হক। ভারতীয় আমন্ত্রিত শিল্পীর একক সংগীত পরিবেশন চলে মধ্যরাত পর্যন্ত।
আনন্দবাজারে আনন্দময়ীর প্রসাদ ভোজন শেষে সব ভক্তরা তাদের স্পন্দনে সাম্য ও সৌভাতৃত্যের উপস্থিতি নিয়ে বাড়ি ফেরেন। সবার সম্পৃক্ততায় মহানবমীকে সফল করে তোলার জন্য টরন্টো দুর্গাবাড়ির শারদীয় উৎসব উদযাপন পরিষদ সবাইকে বিজয়া দশমীর আমন্ত্রণ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।