যুক্তরাজ্যে চ্যানেল ক্রসিং করে ইলিগ্যাল মাইগ্রেশন একটি দীর্ঘদিনের সমস্যা। ২০২৩ সালে কনজারভেটিভ পার্টির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক চ্যানেল ক্রসিং বন্ধ করতে ফ্রান্স সফরে যান।
প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সাথে তার একটি দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময়ে মাইগ্রেশন মিনিস্টার রবার্ট জেনরিক চ্যানেল ক্রসিং করা অবৈধ অভিবাসীদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ফ্রান্সকে অর্থ প্রদানের প্রস্তাব দেন। এক্ষেত্রে প্রতিজন অবৈধ অভিবাসীর জন্য আলাদাভাবে অর্থ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
তবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের ওই প্রস্তাব নাকচ করে দেন। এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা গেলে ইংলিশ চ্যানেল ঘিরে সক্রিয় থাকা হিউম্যান ট্রাফিকিং গ্যাংগুলো প্রতিহত করা সম্ভব হতো।
২০২৩ সালের মার্চ মাসে প্যারিসে অ্যাংলো-ফরাসি সম্মেলনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয় বলে রবার্ট জেনেরিকের একটি নোট থেকে জানা গেছে।
বৈঠকে মি. জেনরিক জানান, এই ডিল নিশ্চিত করা গেলে খুব সহজেই চোরাকারবারীদের ব্যবসায়িক মডেল ভেঙে দেওয়া সম্ভব হবে। ওই সময়ে শুধুমাত্র মাইগ্রেশনের জন্য কনজারভেটিভ পার্টির সরকার প্রতি বছর প্রায় ৩ বিলিয়ন পাউন্ড বার্ষিক ব্যয় করতো।
রুয়ান্ডা প্ল্যানের চাইতেও এই প্রস্তাব যুগান্তকারী একটি সিদ্ধান্ত হতো। তবে ফ্রান্স সরকারের অনাগ্রহের কারণে পুরো বিষয়টি ভেস্তে যায়।
দ্য সানের নেভার মাইন্ড দ্য ব্যালট পডকাস্টে তার প্রস্তাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে মি. জেনরিক বলেন, ঋষি সুনাক প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর কাছে এই প্রস্তাব করলে সাথে সাথে তিনি সেটা নাকচ করে দেন। এমনকি তিনি এই প্রস্তাবের শুনানি করতেও রাজি হননি। কারণ তিনি সম্ভবত ব্রেক্সিটের কারণে ব্রিটেনের শাস্তি হিসাবে এই সমস্যা সমাধান করতে চাননি।
মি. জেনরিক আরও বলেন, ইলিগ্যাল মাইগ্রেশনের ব্যাপারে ফরাসিরা আমাদের সাহায্য করছে না। তারা চাইলে আগামীকাল এটি বন্ধ করতে পারে। কিন্তু আমাদের এখন আর ফরাসিদের সাহায্যের আশায় বসে থাকলে চলবে না। নিজস্ব স্কিম নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
এদিকে, ব্রিটিশ সরকার বর্তমানে সাগর সৈকতে বর্ধিত টহল, অতিরিক্ত নজরদারি সরঞ্জাম এবং আশ্রয় প্রার্থীদের ধরে রাখার জন্য ফ্রান্সকে তিন বছরে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থ প্রদান করেছে। ইতিমধ্যে চ্যানেল ক্রসিং কিছুটা কমে গেছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই