নাফের পাড়ে বাপের বাড়ি, একজন নর, একজন নারী,
হাজার লোকের আহাজারি -বল তোরা কি কানা?
কাঠের চশমা চোখে পরে, নোবেলটাকে আনলো ঘরে,
রাখলি মুখে কুলুপ ভরে, তোর কি বলতে মানা?
মাংস-লুচি খেয়েও আবার নর মাংস চাস!
নোবেল বাবু দ্যাখো এসে, নাফে কেমন শান্তি ভাসে!
তোমার দু’জন শিষ্য হাসে-এ কী পরিহাস!
ঘৃণার রুচি, নেইরে সু চি, মানবতা কুচি কুচি,
কচুকাটা করলিরে তুই-জ্যান্ত মানুষ ধরে!
হুঁশ হারিয়ে বেহুঁশ বাবু, বিদেশী জুস খেয়ে কাবু,
দূর বিদেশে টাঙ্গে তাঁবু-ক্লিনটনেরই ঘরে!
দুই পারে দুই শান্তির দূত, মানবতা খায় গু-মুত,
হতভাগা শান্তির পূত-মুখ বুঁজিয়া চাহে,
কাঁচের ঘরে নাচের আসর, সাজিয়ে আপন শান্তি বাসর,
বিশ্বব্যাপী বাজিয়ে কাঁসর-শান্তির গান গাহে!
অঙ্গ-ভঙ্গ, জাতিসংঘ, দাঁতি লাগা ধ্বজভঙ্গ,
সাথী ল’য়ে করছে রঙ্গ, সাঙ্গ মানবতা!
হায়রে বিবেক রক্ত চিনে, রক্ত দিয়ে ধর্ম কিনে,
বাড়লো বোঝা রক্ত ঋণে-এ কোন দানবতা!
বিষে ভরা দীর্ঘশ্বাসে, অত্যাচারী যাকনা ভেসে,
পায়রা উড়ুক দূর আকাশে-বুদ্ধ মরুক লাজে!
রক্ত চেটে ভক্তরা চুপ! অহিংসার কি এমন স্বরূপ!
‘সকল জীবে সুখে থাকুক’-ওই মুখে কি সাজে?
দু’হাত তুলে বলি প্রভু, রক্ত বৃথা যায় কি কভু?
চুপ করে রও কেন তবু–‘একটা কিছু কর’,
নইলে আমায় দাও ক্ষমতা, ফিরিয়ে আনি সব সমতা-
‘মমতাহীন পাষাণ পরান ওদের টুটি ধর’।
বক্ষ পরে লক্ষ্য করে, সজোরে এক লাথি মেরে,
আবাবিলকে দাওনা ছেড়ে-উড়ুক ডানা মেলে!
বিশ্ব বিবেক কেন ঘুমাও, খুনির গালে কেন চুমাও,
ধুমাও কেন বুকের আগুন- দাওনা এবার জ্বেলে!
বিডি প্রতিদিন/১০ অক্টোবর ২০১৭/হিমেল