২৬ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৪:২৯
পাঠক কলাম

অভিযোগ প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন হতে পারে শাকিবের!

সাগর মাহমুদ

অভিযোগ প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন হতে পারে শাকিবের!

স্বামী শাকিব খানের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিতকরণসহ নানা অভিযোগ এনেছেন অপু বিশ্বাস। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাকিবের যাবজ্জীবন জেলও হতে পারে। শাকিবের বিরুদ্ধে গর্ভপাতেরও অভিযোগ এনেছেন অপু। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ মানবাধিকার কর্মীদের সহায়তা চেয়েছে তিনি।

বাংলাদেশ দণ্ডবিধি আইনের ৩১২ থেকে ৩১৬ ধারা পর্যন্ত গর্ভপাত সংক্রান্ত আইন ও সাজার কথা বলা হয়েছে। ৩১২ ধারায় বলা হয়েছে কোন নারী গর্ভপাত ঘটালে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তিন বছর সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা জরিমানা বা উভয় প্রকার শাাস্তি পেতে পারে।

৩১৩ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি স্ত্রীলোকটির সম্মতি ছাড়া গর্ভপাত ঘটায়, তাহলে উক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাবাস, জরিমানা বা ১০ বছর সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। ৩১৪ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি স্ত্রীলোকটির সম্মতি ছাড়া গর্ভপাত ঘটাইবার উদ্দেশ্যেজনিত কার্যে মৃত্যু ঘটায়, তাহলে ওই ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাবাস বা উপযুক্ত দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

৩১৫ ধারায় বলা হয়েছে, শিশু যাহাতে জীবন্ত জন্মিতে না পারে, বা উহা যাতে জন্মের পর পর মারা যায় সেই উদ্দেশ্যে কোন কার্য করিলে উক্ত ব্যক্তি দশ বছর সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা জরিমানা বা উভয় প্রকার শাস্তি পেতে পারে। ৩১৬ ধারায় বলা হয়েছে, এমন কোনো কার্য দ্বারা আসন্ন প্রসব গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু ঘটানো, যাহা অপরাধজনক প্রাণনাশ বলিয়া গণ্য হয়, এমন কোনো কার্য করিলে উক্ত ব্যক্তি ১০ বছর সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও জরিমানা দণ্ডে দণ্ডিত হবে। এক্ষত্রে গণমাধ্যমের কাছে অপু বারবার যে কথাগুলো বলে এসেছেন সেগুলোর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করলে এবং প্রমাণিত করলে পুরোদমে ফেঁসে যাবেন শাকিব।

বিয়ের খবর প্রকাশের মাত্র কয়েক মাসের মাথায় বিবাহবিচ্ছেদে গেলেন তারা। একটি শীর্ষ দৈনিকে পহেলা বৈশাখে এই দম্পতির হাসিমাখা ছবি প্রকাশ পেলেও দুজনের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে ভিন্ন কথা। গত আট মাসে শাকিব-অপুর মধ্যে কোনো প্রকার বাক্য পর্যন্ত বিনিময় হয়নি। কয়েকবার শাকিব অপুর বাসায় গেলেও সেটা কেবলই আব্রামকে দেখার জন্য। অপুর সঙ্গে কিছু বলার থাকলে বা যোগাযোগের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরেই সেটা করে আসছেন শাকিবের সহকারী মনির।

এই দুই নায়ক নায়িকার মধ্যে কথা-বার্তা না হওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমে না এলেও অধিকাংশ সাংবাদিকই বিষয়টি জানেন। মূলত ডিভোর্সের এই বিষয়টি অনুমিতই ছিল। এখন ৯০ দিন পরই আসলে বাকিটুকু জানা যাবে। এই ঘটনার মোড় শেষ পর্যন্ত কোন দিকে গড়ায় এখন দেখার বিষয় সেটাই।

‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবির মাধ্যমে ২০০৬ সালে বড় পর্দায় জুটি বাঁধেন শাকিব-অপু। ২০০৮ সালে তারা গোপনে বিয়ে করেন। গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর তাদের ঘরে জন্ম নেয় এক পুত্রসন্তান। এ বিষয়টিও গোপন ছিল। এরপর নানা ইস্যু নিয়ে তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে এক উঠতি নায়িকাকে ঘিরে শাকিব-অপুর সম্পর্ক বিষিয়ে ওঠে। ওই নায়িকার সঙ্গে শাকিব যেন আর কোনো ছবিতে কাজ না করেন অপুর দেওয়া এমন শর্ত ভঙ্গ করলে চলতি বছরের ১০ এপ্রিল অপু বিশ্বাস বেসরকারি টিভি চ্যানেল নিউজ টোয়েন্টিফোরে এসে তাদের গোপন বিয়ে ও গোপনে সন্তান জন্মের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন।

(পাঠক কলাম বিভাগে প্রকাশিত মতামত একান্তই পাঠকের, তার জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়)

বিডি প্রতিদিন/২৬ ডিসেম্বর, ২০১৭/ফারজানা

সর্বশেষ খবর