ষোল কোটি মানুষের দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজার। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটকের আগমন ঘটে এখানে। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত এটি। পর্যটকদের স্বাগত জানাতে কক্সবাজারের কলাতলী মোড়ে বসানো হয়েছে সমুদ্রের ডলফিন। কিন্তু দেশ ও পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের স্বাগত জানাচ্ছে ধূলা-বালি মাখা ডলফিন।
বলছিলাম কক্সবাজার কলাতলী মোড়ে নির্মিত ডলফিন ভাস্কর্যের কথা।ধূলা-বালিতে দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্যটি এখন খুবই দৃষ্টিকটু দেখাচ্ছে।চিরজীবন জলে বাস করা ডলফিন কূলে এসে যেনো এতটুকু জল গায়ে মাখতে পারেনি বহু দিন। শুষ্ক মৌসুমে এমন ধূলা-বালি হবে তা স্বাভাবিক। তবে তা ধুয়েমুছে পরিষ্কার তো করতে হবে।ভাস্কর্যটি দেখে মনে হয়েছে গত মৌসুমের শেষ বৃষ্টি ছাড়া আর কোনো দিন পানিই চোখে দেখেনি ভাস্কর্যের ডলফিনগুলো।
ধূলা-বালি গায়ে নিয়ে বোবাকান্না করছে ভাস্কর্যের ডলফিনগুলো।কর্তৃপক্ষ চাইলে একটু ধুয়েমুছে পরিষ্কার করে থামাতে পারেন ডনফিন গুলোর বোবা কান্না।সেই সাথে পর্যটকরাও উপভোগ করতে পারবে ভাস্কর্যটির আসল সৌন্দর্য্য।অহ হ্যাঁ, ভাস্কর্যটির বাউন্ডারিতে দেখা যাচ্ছে পোস্টারে পোস্টারে ভরপুর। আশ্চর্য! যারা পোস্টার লাগায় তাদের কী এতটুকু রুচিবোধ নেই, কোথায় পোস্টার লাগাবে আর কোথায় পোস্টার লাগাবে না। তা বোঝার মত বোধশক্তি।
একটু ধুয়েমুছে পরিষ্কার করে দিলেই ডলফিনের ভাস্কর্যটি তার আসল সৌন্দর্য্য ছড়িয়ে দিবে। স্বাগত জানাতে পারবে কক্সবাজারে আসা লাখো পর্যটকদের।
লেখক: প্রবাসী সাংবাদিক।
বিডিপ্রতিদিন/ ১০ মার্চ, ২০১৮/ ই জাহান