অারাকানে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নিপীড়ন ও বর্বরতার শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় সোয়া চার লাখ রোহিঙ্গা। আর এ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে ত্রাণ বণ্টনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তা চেয়েছে সরকার।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ত্রাণ বণ্টনের কাজে সহযোগিতা করবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান মন্ত্রী।ত্রাণমন্ত্রী বলেন, রাখাইন রাজ্যে নতুন করে সহিংসতা শুরুর পর ২৫ আগস্ট থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় চার লাখ ২৪ হাজার রোহিঙ্গা এসেছে। তাদের মধ্যে বুধবার পর্যন্ত নিবন্ধন করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৫৭৫ জনকে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে তাদের খাদ্য, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সেবা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত জেলা প্রশাসন, ইউএনএইচসিআর, আইওএম, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, ইউএনএফপিএ, ইউনিসেফ, এসিএফসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা নতুন আসা রোহিঙ্গাদের সাহায্য-সহযোগিতা করেছে। রোহিঙ্গাদের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৫০০ টন জিআর চাল ও নগদ ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বিদেশিদের ত্রাণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ডব্লিউএফপি (বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি) আগামী ৪ মাস ৪ লাখ পরিবারকে খাবার সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ ছাড়া দেশি-বিদেশি সংস্থা থেকে প্রায় ২৫০ টন চাল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২০ টন আটাসহ অন্যান্য সামগ্রীও রয়েছে। ’
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের কেউ না খেয়ে মরবে না। নিজ দেশে না ফেরা পর্যন্ত তাদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডিপ্রিতিদিন/ ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/ ইমরান জাহান