১৭ অক্টোবর, ২০১৭ ১১:১৪

রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকর ভূমিকার আহ্বান

অনলাইন ডেস্ক

রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকর ভূমিকার আহ্বান

ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে স্থায়ী ও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।  জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা ও জরুরি ত্রাণ বিষয়ক সমন্বয়কারী এবং জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক লোকক্ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ইকোসক চেম্বারে 'রোহিঙ্গা সঙ্কট ও বাংলাদেশের মানবিক সহযোগিতা বিষয়ে' এক ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেন। সোমবার আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্পিকার।

স্পিকার তার বক্তব্যে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী এ মানবিক আশ্রয়দানে অনন্য সাহসিকতা ও দৃঢ়তা প্রদর্শন করেছেন। অসহায় রোহিঙ্গাদের জন্য দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।

স্বাগত বক্তব্যে মার্ক লোকক্ কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সরেজমিন পরিদর্শনের সময় তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।  লোকক জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত এসব রোহিঙ্গাকে উদারভাবে আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানান। 

তিনি এক্ষেত্রে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা পরিকল্পনার কথা, রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘের দেওয়া মানবিক সহায়তা, এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে পাওয়া সহায়তার কথা সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে অবহিত করেন। এ প্রসঙ্গে আগামী ২৩ অক্টোবর জেনেভায় অনুষ্ঠেয় প্লেজিং কনফারেন্সের কথা উল্লেখ করে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাকি সব প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানান।

এ সময় স্পিকার নিজের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের ভিত্তিতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অমানবিক অবস্থার বর্ণনা তুলে ধরেন। তিনি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে স্থায়ী ও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। 
এ সংকটের শিকড় মিয়ানমারে এবং এর সমাধানও মিয়ানমারেই নিহিত উল্লেখ করে স্পিকার শিরীন শারমিন বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।  আমরা এ সমস্যার জরুরি সমাধান চাই যাতে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিরাপদভাবে এবং সম্মানের সঙ্গে তাদের ঘরে ফিরতে পারে এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও অর্থপূর্ণ জীবন কাটাতে পারে। 

ব্রিফিংয়ে ইউএনএইচসিআর, আইওএম, ইউনিসেফ, ডব্লিউএইচও, রেডক্রস অ্যান্ড রেডক্রিসেন্টের প্রতিনিধিরা ছাড়াও কুয়েত, তুরস্ক, সৌদিআরব, সুইডেন, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, সুইজারল্যান্ড, মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও ইইউ’র রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর