৩ নভেম্বর, ২০১৭ ০১:০০

'ভারতের দায়িত্ব রোহিঙ্গাদের ঘরে ফেরার নিশ্চিয়তা তৈরি করা'

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

'ভারতের দায়িত্ব রোহিঙ্গাদের ঘরে ফেরার নিশ্চিয়তা তৈরি করা'

ভারতের সিনিয়র কমিউনিস্ট নেতা ও কলকাতার সাবেক মেয়র বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছেন, ভারত সরকারের উচিত ধর্মীয় রূপ না নিয়ে মানবিকতার দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে রোহিঙ্গা ইস্যুটি দেখা। ভারত সরকারের দায়িত্ব মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের এদেশে আশ্রয় দিয়ে তাদের প্রতিপালন এবং নিজেদের ঘরে ফেরার নিশ্চিয়তা তৈরি করা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার দত্তপুকুরে হাসিম আবদুল হালিম দ্বিতীয় স্মারক বক্তব্যে 'বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে (ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার) দক্ষিণপন্থী সাম্প্রদায়িকতার উত্থান' শীর্ষক এক আলোচনায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিকাশ রঞ্জন এসব বলেন।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের মতো একটি ছোট সামরিক শাসিত রাষ্ট্র আজ মানুষের অধিকারকে খর্ব করছে, গণহত্যায় যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক স্তরে সব রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিয়ে এই গণহত্যা প্রতিরোধ করতে হবে। তার অভিমত 'কূটনৈতিক স্তরে, জাতিসংঘ মারফত মিয়ানমার সরকারকে বাধ্য করা এদের ফিরিয়ে নেওয়া এবং এদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। এই কাজটা প্রতিবেশি রাষ্ট্রকেই করতে হয়।

বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু করেছে, ভারতেরও উচিত সেই কাজ করা। কিন্তু ভারতে যেহেতু রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) পরিচালিত সরকার তারা মূল মানবিক দিকটা ভুলে গিয়ে তারা এটাকে ধর্মীয় রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা চাই মানবাধিকার রক্ষার জন্য ভারতের দায়িত্ব হল এদের আশ্রয় দিয়ে প্রতিপালন করা এবং রোহিঙ্গাদের ঘরে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করা।

অন্যদিকে ভারতে অবস্থান করা বাংলাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে ভারতের উচিত বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানো। কলকাতায় সংবাদ সংস্থা আইএএনএস'কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফারুকী বলেন, এই সঙ্কটময় মুহূর্তে ভারতের উচিত রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানো। ভারতে একটি গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি রয়েছে।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে ভারতের উচিত রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানো পাশাপাশি বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানো। কারণ ভারত সব সময় বাংলাদেশকে প্রকৃত ও নিকটতম বন্ধু হিসাবেই গণ্য করে থাকে।

ফারুকী আরও বলেন, গত দশ বছরে বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে যে বিচ্ছিন্নতাবাদীসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ভারতের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তারা সবকিছু করেছে। এখন বাংলাদেশও ভারতের কাছ থেকে কিছু ভালোবাসা আশা করে।

উল্লেখ্য, রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে ৬ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা।

বিডি প্রতিদিন/০৩ অক্টোবর ২০১৭/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর