১২ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৮:১৮

নতুন করে এসেছে ৩ শতাধিক রোহিঙ্গা

আব্দুস সালাম, টেকনাফ(কক্সবাজার)

নতুন করে এসেছে ৩ শতাধিক রোহিঙ্গা

ফাইল ছবি

টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত হয়ে পাঁচ দিনে নতুন করে ৩ শতাধিকের বেশি রোহিঙ্গা ঢুকেছে। এর প্রেক্ষিত আজ ৬৮ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। 

টেকনাফ থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ জানান, সকাল থেকে শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়, দক্ষিণপাড়া, পশ্চিমপাড়া পয়েন্ট হয়ে আসা ৬৮ জন রোহিঙ্গাদের তালিকাভুক্ত করে মানবিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তাদের অস্থায়ী রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এর আগের চার দিনে ২ শ’র বেশী রোহিঙ্গা এপারে ঢুকেছে।  

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ মিয়ামার সমঝোতার স্মারক সই হওয়ার পর থেকে  প্রায় দেড় হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে এপারে ঢুকেছে। তাঁদেরকে মানবিক সহায়তা দিয়ে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
এদিকে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘অতিরিক্ত’ ত্রাণ বিতরণের সুযোগে অনেকে তা মজুদ করছে জানিয়ে ‘অপচয়’ রোধে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত রাখতে বলেছে স্থানীয় প্রশাসন। রবিবার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহম্মদ আশরাফ হোসেন (শিক্ষা ও আইসিটি) স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।
রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১১ থেকে ১৭ ডিসেম্বর খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ট সব বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে অনুরোধ করা হয় সেখানে।

পরিপত্রে বলা হয়, ‘বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের মাঝে প্রায় বেশিরভাগ এনজিও ত্রাণ হিসেবে খাদ্য বিতরণ করছে। ফলে প্রয়োজনের তুলনায় অধিক পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী এবং ননফুড আইটেম রোহিঙ্গাদের দ্বারা সংরক্ষিত হচ্ছে ও অপচয় হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।’
কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, জেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী উখিয়া ও টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোসহ সংশ্লিষ্ট এনজিওগুলোকে ওই নির্দেশনার অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আশরাফ হোসেন জানান, ‘এখন পর্যন্ত প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। অনেকে বাড়তি ত্রাণ সংগ্রহ করে মজুদ করছে, হাট-বাজারে বিক্রি করছে। ফলে সঙ্কটের মধ্যেও ত্রাণের অপচয় হচ্ছে।’
এক সপ্তাহ বিতরণ বন্ধ থাকার মধ্যে কোনো পরিবারের সমস্যা হলে কর্তৃপক্ষ কী করবে- এমন প্রশ্নে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, ‘কোনো পরিবার থেকে অভিযোগ বা চাহিদা পেলে যাচাই করে আমরা বিতরণের ব্যবস্থা করব।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর