১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১১:৫৫

এক সপ্তাহের জন্য রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক

এক সপ্তাহের জন্য রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা বন্ধ

সংগৃহীত ছবি

কক্সবাজারে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। সরকারি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সোমবার ১১ই ডিসেম্বর থেকে ১৭ই ডিসেম্বর পর্যন্ত এই কর্মসূচি বন্ধ রাখতে সব বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে অনুরোধ জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আলি আহমেদ বলেছেন, তারা শুধুমাত্র স্থানীয় এনজিওগুলোকে তাদের খাদ্য ত্রাণ কার্যক্রম সাতদিনের জন্য বন্ধ রাখতে বলেছেন। তিনি বলেন, "আমরা যেটা দেখতে পাচ্ছি প্রচুর খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে এবং এগুলো অনেকসময় অপচয় হচ্ছে। প্রত্যেক পরিবারের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে খাদ্যসামগ্রী মজুত রয়েছে।"

তিনি আরো জানিয়েছেন, যেহেতু সেখানে ত্রাণের কোন অভাব নেই এবং যেহেতু বাড়তি খাবার তারা মজুত করছে তাই ত্রাণ কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করার লক্ষ্যে তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং এ ব্যাপারে তারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাথে বৈঠকও করেছেন।

প্রচুর খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে এবং এগুলো অনেকসময় অপচয় হচ্ছে বলে মনে করেন জেলা প্রশাসক আলি আহমেদ। তিনি বলেন, "ডাব্লিউ এফ পি তাদের সবাইকে প্রতিমাসে খাবার দিচ্ছে। স্থানীয়ভাবে এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন যেসব খাবার নিয়ে আসছে সেসব খাবার আবার আমরা তাদের মাঝে বিতরণ করছি। এমনকী অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাও তাদের খাবার দিচ্ছে। বিভিন্ন সংগঠনও রান্না করা খাবার দিচ্ছে। ফলে অনেকসময় খাবার অপচয় হচ্ছে। "

তিনি বলেন, অনেকসময় এমন কথাও শোনা যাচ্ছে যে খাবারগুলো একজন থেকে অন্যজনের কাছে চলে যায়। খাবার বাজারে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এমন কথা শোনা গেলেও এর কোনরকম প্রমাণ এখনও পর্যন্ত আমরা পাইনি।

তিনি আরো জানান, এনজিওগুলোকে তারা মাত্র কয়েকদিনের জন্য খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন। প্রতিটা পরিবারের কার কাছে কতটা খাদ্য আছে তার একটা হিসাব তাদের কাছে আছে। 

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন বলছে সাতদিন কার্যক্রম বন্ধ রাখলে কারোর জন্য খাবারের অভাব হবে না। জেলা প্রশাসক বলেন, "গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে আমরা তাদের খাদ্য সাহায্য দিচ্ছি। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিরও হিসাব আছে পরিবারগুলোর কাছে কতটা খাবার আছে। কাজেই এর ফলে এ সময় কারোর জন্য খাবারের কোন অভাব হবে না। "

রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ত্রাণের খাবার বাইরে বিক্রি করে দিচ্ছে এমন কোন অভিযোগের পটভূমিতে তারা এই উদ্যোগ নিয়েছেন কীনা এ প্রশ্নে আলি আহমেদ বলেন, তেমন কোন প্রমাণ তাদের হাতে নেই। তিনি জোর দিয়ে বলেন তাদের এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য খাবার যাতে অপচয় না হয় এবং খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থা যাতে আরও কার্যকর করা যায় সেটাই নিশ্চিত করা।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

বিডি প্রতিদিন/১৩ ডিসেম্বর ২০১৭/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর