সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

ভবিষ্যতে ছাত্রদের মারামারির রেডিমেড কারণসমূহ

ভবিষ্যতে ছাত্রদের মারামারির রেডিমেড কারণসমূহ

বন্ধুর গার্লফ্রেন্ড-

বন্ধুর সাথে বন্ধুর ভবিষ্যৎ ঝগড়ার অন্যতম কারণ হবে বন্ধুর গার্লফ্রেন্ড। ফেসবুক ভাইবার কিংবা স্কাইপিতে কোনোভাবে বন্ধুর গার্লফ্রেন্ডের সাথে হাই হ্যালো হলেই ঝগড়ার সূত্রপাত দেখা দেবে। এমনকি বন্ধুর গার্লফ্রেন্ডকে ভাবী সম্বোধন না করে নাম ধরে ডাকলে মারামারি পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। উদাহরণ- দোস্ত, জুলেখা কেমন আছে?

: জুলেখা কে?

: আরে জুলেখা, তোর গার্লফ্রেন্ড!

: আমার গার্লফ্রেন্ডকে তুই নাম ধরে ডাকিস কেন? ভাবী বলবি।

: তোদের তো এখনো বিয়ে হয়নি!

: আমার গার্লফ্রেন্ড মানেই তোর ভাবী, বিয়ে হোক আর না হোক, এরপর ওকে ভাবী না ডাকলে তোর খবর আছে?

: খবর আছে মানে? তোর এত্ত সাহস তুই আমাকে থ্রেট দেস, আজ তোর একদিন কি আমার একদিন!

ব্যাস, শুরু হয়ে গেল মারামারি

ফেসবুক স্ট্যাটাসে লাইক-

ভবিষ্যতে বন্ধুত্ব ফাটলে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করবে ফেসবুক স্ট্যাটাসে লাইক। বন্ধুর স্ট্যাটাসে লাইক না দিয়ে কেন আরেকজনের স্ট্যাটাসে লাইক দেওয়া নিয়েই হয়ে যেতে পারে তুমুল ঝগড়া। অনলাইনের এই ঝগড়া অফলাইনেও ছড়িয়ে যেতে পারে। হতে পারে সম্পর্ক নষ্ট, মুখ দেখাদেখি বন্ধ। জেনে রাখা ভালো ফেসবুকে লাইক ইস্যু নিয়ে ঝগড়া ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে যা ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

সুন্দরী ক্লাসম্যাটের পাশে বসা এবং সেলফি তোলা-

প্রায় প্রতিটি ক্লাসে একজন সুন্দরী সহপাঠিনী থাকে যার পাশে বসতে পারার জন্য বন্ধুদের ভেতর নীরব প্রতিযোগিতা চলে। সারা রাত চ্যাট করে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠেও যখন সুন্দরী সেই ক্লাসম্যাটের পাশে জায়গা পাওয়া যায় না তখন লেগে যায় কথা কাটাকাটি। সেই কথা কাটাকাটি তুমুল মারামারির দিকে ধাবিত হতে পারে যদি বন্ধুদের ভেতর কেউ একজন সেই সুন্দরী ক্লাসম্যাটের সাথে একটি সেলফি আদায় করে নিতে পারে।

 

 

সর্বশেষ খবর