সোমবার, ৪ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

জুকারবার্গের ফেসবুক চালু করার রহস্য

জুকারবার্গের ফেসবুক চালু করার রহস্য

গবেষণা এক।

জুকারবার্গ তখন নতুন প্রেমে পড়েছিল। ডেটিং খরচ থেকে বাঁচতে সে সরাসরি হাজির হয়েছিল মেয়ের বাবার কাছে।

: ডেভিড সাহেব, আমি আপনার মেয়েরে বিয়ে করতে চাই।

ডেভিড সাহেব বললেন, তোর কি এমন আছে যে আমার মেয়ে তোর সঙ্গে বিয়ে দেব? জুকারবার্গ বলেছিল, ডেভিড সাহেব, আমি গরিব হতে পারি কিন্তু মনে রাখবেন আমাকেও হাজারো ছেলেমেয়ে লাইক করে। ডেভিড সাহেব বললেন, প্রমাণ দে।

সেই প্রমাণ দিতেই জুকারবার্গ ফেসবুক আবিষ্কার করেছিল ও নিজের একখান আইডি খুলেছিল!

 

গবেষণা দুই।

জুকারবার্গ বাংলা সিনেমার ভক্ত ছিল। আর বাংলা সিনেমার একটা ব্যাপার তাকে মুগ্ধ করেছিল। ব্যাপারটা ছিল- পিচ্চি কোলে নিয়ে গান গাইতে থাকলে সে তিন মিনিটের মধ্যেই বড় হয়ে যায়। জুকারবার্গ মনে করল তিন মিনিটে বাচ্চা বড় হতে পারলে তিন মিনিটেই সিংগেল থেকে ইন এ রিলেশনশিপ, তারপর এনগেজড, তারপর ম্যারিড। সবশেষে ডিভোর্স হতেই পারে। আর এ সিস্টেমটার সঙ্গে জুকারবার্গ পরিচয় করিয়ে দেয় ফেসবুকের মাধ্যমে। যেখানে ক্ষণে ক্ষণে একেকজনের রিলেশনশিপ স্ট্যাটাসের পরিবর্তন দেখা যায়!

গবেষণা তিন।

পূর্বজন্মে নামকরা মডেল জুকারবার্গের দোস্ত ছিল। সুস্থ বিনোদনের জন্য জুকারবার্গকে সার্কাস দেখতে যাওয়া লাগত না। সেই মডেলের কাণ্ড দেখেই সে হেসে লুটোপুটি খেত। এক সময় সে ভাবল পৃথিবীতে নির্মল বিনোদনের খুব অভাব। একটা প্লাটফরমে যদি বিশ্ববাসীর সঙ্গে এই মডেলের পরিচয় করানো যেত তবে দুঃখ কষ্ট ভুলে সবাই হাসতে হাসতে আবেগে মারা যেত। সেই চিন্তা-ভাবনা থেকেই...!

গবেষণা চার।

জুকারবার্গের এক মোবাইল প্রেমিকা ছিল। এক বছরের মোবাইলীয় সম্পর্কের পর জুকারবার্গ বুঝতে পারল যে, এক পোলা মেয়েকণ্ঠে তার সঙ্গে এই ছলনা করেছে। জুকারবার্গ লজ্জিত হলো ও মনে করল ধরা শুধু আমি একা খাব কেন? আরও দশজনও খাক। তা দেখে মনের জ্বালা মিটাই। তারপর সে ফেসবুক চালু করেছিল।

 

সর্বশেষ খবর