শিরোনাম
সোমবার, ৩ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

হিরো হওয়ার ফেসবুকী উপায়

অনামিকা মণ্ডল

হিরো হওয়ার ফেসবুকী উপায়

আকাশ ও বাতাস দুই বন্ধু দুপুরের খাঁ খাঁ রোদের মধ্যে চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছে। বাতাসের চোখে উদাস উদাস ভাব দেখে আকাশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করল-

: তোর সমস্যা কী বল তো, এত উদাসীনতা কিসের? ছ্যাঁকা ট্যাকা খাইছোস নি?

: হ রে দোস্ত।

: কস কী! কে তোরে ছ্যাঁকা দিল?

: মরজিনা।

: কোন মরজিনা? ফেসবুকের উদাসিনী মরজিনা? তোর ক্লোজ ফ্রেন্ড লিস্টের মরজিনা?

: হ।

: কয়দিন আগে তুই যার বড়সড় একটা উপকার করছিলি সেই মরজিনা তো?

: হ রে বাপ হ।

: তাইলে অয় তোরে ছ্যাঁকা দিবো কেন? কৃতজ্ঞতা টৃতজ্ঞতা কী দুনিয়াত্তে উইঠা গেছে নি!

: হ।

: হ মানে কী? কয়দিন আগে কে বা কারা সেই মরজিনার নামে ফেক আই.ডি. খুইলা সমানে ফেসবুকাইতো। তুই সেইটা ফার্স্ট টাইম ডিসকোভার করছিলি। কি করস নাই?

: হ।

: তারপর তুই সেইটা মরজিনারে জানাইলি। মরজিনা পুরা ভ্যাবাচ্যাকা খাইয়া তোর ইনবঙ্ েঅাঁচল পাইতা সাহায্য ভিক্ষা চাইল।

: হ।

: তুই রাত দিন এক কইরা সেই ফেক আই.ডি.র পাসওয়ার্ড বাইর করলি।

: হ।

: তারপর সেই ফেক আই.ডি.টা ডিয়েকটিভ কইরা মরজিনার টেনশন দূর করে দিলি। ও তোরে ধন্যবাদ জানাইয়া একটা পোস্ট ট্যাগ করল। তোরে ও সাধারণ ফ্রেন্ড থাইকা ক্লোজ ফ্রেন্ডে উন্নীত করল।

: হ।

: তাইলে এর মধ্যে ছ্যাঁকার ব্যাপারটা আসল কইত্তে? তুই মানবিকের ছাত্র হইয়া কত হার্ড ওয়ার্ক কইরা আই.টি. সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করলি। হ্যাকিং ট্যাকিং শিখলি। তার কি কোনো মূল্যই নেই মরজিনার কাছে? ও তো দেখি বাংলা সিনেমার নায়িকার বাবার চেয়েও নিষ্ঠুর!

: তোরে কে কইল আমি হ্যাকিং শিখছি?

: হ্যাকিং না শিখলে ওই ফেক আই.ডি.র পাসওয়ার্ড পাইছিলি কেমনে? ডিয়েকটিভ করছিলি কেমনে?

: কারণ, হিরো হবার সহজ উপায় প্রকল্পের অংশ হিসেবে ওই ফেক আই.ডি.টা আমিই খুলছিলাম। ও একটু আগে সেইটা জানতে পাইরা আমারে ব্লক মারছে।

 

সর্বশেষ খবর