আকাশ ও বাতাস দুই বন্ধু দুপুরের খাঁ খাঁ রোদের মধ্যে চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছে। বাতাসের চোখে উদাস উদাস ভাব দেখে আকাশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করল-
: তোর সমস্যা কী বল তো, এত উদাসীনতা কিসের? ছ্যাঁকা ট্যাকা খাইছোস নি?
: হ রে দোস্ত।: কস কী! কে তোরে ছ্যাঁকা দিল?
: মরজিনা।
: কোন মরজিনা? ফেসবুকের উদাসিনী মরজিনা? তোর ক্লোজ ফ্রেন্ড লিস্টের মরজিনা?
: হ।
: কয়দিন আগে তুই যার বড়সড় একটা উপকার করছিলি সেই মরজিনা তো?
: হ রে বাপ হ।
: তাইলে অয় তোরে ছ্যাঁকা দিবো কেন? কৃতজ্ঞতা টৃতজ্ঞতা কী দুনিয়াত্তে উইঠা গেছে নি!
: হ।
: হ মানে কী? কয়দিন আগে কে বা কারা সেই মরজিনার নামে ফেক আই.ডি. খুইলা সমানে ফেসবুকাইতো। তুই সেইটা ফার্স্ট টাইম ডিসকোভার করছিলি। কি করস নাই?
: হ।
: তারপর তুই সেইটা মরজিনারে জানাইলি। মরজিনা পুরা ভ্যাবাচ্যাকা খাইয়া তোর ইনবঙ্ েঅাঁচল পাইতা সাহায্য ভিক্ষা চাইল।
: হ।
: তুই রাত দিন এক কইরা সেই ফেক আই.ডি.র পাসওয়ার্ড বাইর করলি।
: হ।
: তারপর সেই ফেক আই.ডি.টা ডিয়েকটিভ কইরা মরজিনার টেনশন দূর করে দিলি। ও তোরে ধন্যবাদ জানাইয়া একটা পোস্ট ট্যাগ করল। তোরে ও সাধারণ ফ্রেন্ড থাইকা ক্লোজ ফ্রেন্ডে উন্নীত করল।
: হ।
: তাইলে এর মধ্যে ছ্যাঁকার ব্যাপারটা আসল কইত্তে? তুই মানবিকের ছাত্র হইয়া কত হার্ড ওয়ার্ক কইরা আই.টি. সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করলি। হ্যাকিং ট্যাকিং শিখলি। তার কি কোনো মূল্যই নেই মরজিনার কাছে? ও তো দেখি বাংলা সিনেমার নায়িকার বাবার চেয়েও নিষ্ঠুর!
: তোরে কে কইল আমি হ্যাকিং শিখছি?
: হ্যাকিং না শিখলে ওই ফেক আই.ডি.র পাসওয়ার্ড পাইছিলি কেমনে? ডিয়েকটিভ করছিলি কেমনে?
: কারণ, হিরো হবার সহজ উপায় প্রকল্পের অংশ হিসেবে ওই ফেক আই.ডি.টা আমিই খুলছিলাম। ও একটু আগে সেইটা জানতে পাইরা আমারে ব্লক মারছে।