সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

লাইক কাকে দেবেন কেন দেবেন

লাইক কাকে দেবেন কেন দেবেন

শুধু যে বুদ্ধিমানেরাই ভেবেচিন্তে কাজ করে এমনটা ভাববেন না। এখন ফেসবুকবাসীও ভেবেচিন্তে কাজ করে থাকেন। তাদের কার্যতালিকায় শীর্ষে রয়েছে লাইক দেওয়া। তারা খুব হিসাব-নিকাশ করে লাইক দিয়ে থাকেন। কাকে, কখন, কেন লাইক দেবেন সেটা জেনে রাখা জরুরি।  লাইকের এই জমজমাট বাজারে অযথা লাইক করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। লিখেছেন- রাফিউজ্জামান সিফাত

প্রেমিকার স্ট্যাটাসে-

যে প্রেমিক-প্রেমিকার স্ট্যাটাসে লাইক না দিয়েই হোমপেইজ স্ক্রল করে নিচে নেমে যায় তাকে ফেসবুক প্রেমের লাইক অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। ফেসবুক জীবনে প্রেমিকার যে কোনো ধরনের স্ট্যাটাসে লাইক দেওয়া প্রতিটি প্রেমিকের  ফেসবুক কর্তব্য। হোক যত ন্যাকা কিংবা অদরকারী স্ট্যাটাস। প্রেমিকা স্ট্যাটাস দেওয়ার ‘জাস্ট নাউ’ এর  ভিতরে লাইক দিয়ে প্রেমিকার মন জয় করে ফেলতে হবে। মনে রাখা উচিত, সারাবেলা ডেটিং অপেক্ষা আধুনিককালে প্রেমিকার স্ট্যাটাসে গণহারে লাইক অনেক বেশি কার্যকরী। এভাবে লাইক দেওয়ার আরেকটি ইতিবাজক দিক হলো- সারাদিন ফেসবুকে ঝিম মেরে বসে থাকলেও প্রেমিকা মাইন্ড করবে না। ‘সারাদিন ফেসবুকে কী করো’ টাইপের ঘ্যানঘ্যান শুরু করলেই কণ্ঠে প্রেম ঢেলে বলে দিন, আমি সবার আগে তোমার স্ট্যাটাসে লাইক দেওয়ার জন্য ফেসবুকে বসে থাকি।

বসের স্ট্যাটাসে-

ফেসবুক চালাতে মেগাবাইট লাগে  আর মেগাবাইট কিনতে লাগে টাকা।  সেই অর্থের জোগানদাতা হিসেবে নিজ নিজ বসের স্ট্যাটাস পাওয়া মাত্র লাইক দিতে ঝাঁপিয়ে পড়ুন। দরকার হলে এক পোস্টে কয়েকবার আনলাইক করে আবার লাইক দিন। এতে বস বারংবার নোটিফিকেশন পাবে। নোটিফিকেশন পেয়ে ঝাড়ি  না খাওয়া পর্যন্ত লাইক দিতে থাকুন। কিন্তু একটু প্যাঁচ আছে। যদি তিনি টের পান আপনি অফিসের কাজের চেয়ে ফেসবুকে লাইক দিতেই বেশি পটু তবে শেষ অবধি অফিসের কাজ ছাড়িয়ে লাইক দেওয়ার কাজই আপনাকে দিতে পারে।

সেলিব্রেটিদের স্ট্যাটাসে-

আধুনিক সভ্যতার বিস্ময়কর সত্য সেলিব্রেটিদের তেল মারা। মানে খাতির করা আরকি। ফেসবুক সেলিব্রেটিদের মন জয় করতে পারা এক  যুগান্তকারী চ্যালেঞ্জের নাম। লাইকের মাধ্যমে সহজেই সেই চ্যালেঞ্জে উত্তীর্ণ  হওয়া সম্ভব। মতের অমিল থাকলেও তাদের যে কোনো স্ট্যাটাসে লাইকের সঙ্গে সঙ্গে কমেন্টে ওই সেলিব্রেটিকে ট্যাগ করে- ‘অস্থির লিখেছেন বস, লাইক দিলাম’ লিখে বুঝিয়ে দিন আপনি লাইনে আছেন।

ক্লাসটিচারের স্ট্যাটাসে-

এই লাইক সিজনাল। ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষার আগে ধুমিয়ে শিক্ষকদের  স্ট্যাটাসে লাইক দিয়ে যান। উনাদের বহু পুরনো ছবির অ্যালবাম খুঁজে  বের করে  লাইক দিয়ে নতুনভাবে হোম পেইজে নিয়ে আসুন। পরীক্ষার আগে লাইক দিয়ে ‘ভেরি ভেরি ইম্পর্টেন্ট’  প্রশ্নের সাজেশন পাওয়ার ইচ্ছা থেকে অনেকেই এভাবে লাইক দিয়ে থাকেন।

মেয়েদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোর আগে-

কোনো সুন্দরীকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোর আগে তার সব স্ট্যাটাসে অঝোরে লাইক বিলিয়ে যান। পর্যাপ্তের অধিক পর্যাপ্ত লাইক দেওয়া হয়েছে মনে হলে তারপরই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠান। রিকোয়েস্ট গৃহীত হবে। বিফলে সব লাইক ফেরত নিয়ে নেবেন।

এলাকার পাতিনেতাদের স্ট্যাটাসে-

এলাকার পাতিনেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায়ে লাইকের জুড়ি মেলা ভার। রাস্তাঘাটে ‘ভাই ভাই‘ ডেকে চাপা ব্যথা করার চেয়ে উনাদের স্ট্যাটাসে লাইক দেওয়া আজকাল অধিক জনপ্রিয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর