: আপনার নাম?
: সবাই আমাকে ‘মশা’ বলেই জানে।
: কী করেন?: খাই দাই, গান গাই, উড়ে বেড়াই।
: প্রিয় খাবার?
: মানুষের রক্ত। মানুষের সাথে আমাদের রক্তের সম্পর্ক।
: আচ্ছা! মানুষের রক্ত না খেয়ে চর্বি খেতে পারেন না? তাহলে মোটা মানুষ স্লিম হয়ে যেতে পারত।
: আর বলবেন না। আমরা সামান্য রক্তের বিনিময়ে তাদেরকে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়াসহ অন্যান্য জীবাণু দান করি।
অথচ তারা দু হাতে তালি বাজিয়ে আমাদেরকে মেরে ফেলে।
: আপনার রাগ হয়?
: না। তবে কুটুস করে কামড়ে আদর করে দেই। দেখুন, ড্রাকুলা মানুষের রক্ত খায়, তার সঙ্গে তো পারে না। যত দশা, মন্দ মশা...
: আপনারা ময়লা পানিতে ডিম পাড়েন কেন?
: ভালো পানিতে ডিম পাড়লে মানুষ সেদ্ধ
করে খেয়ে ফেলতে পারে। সেই ভয়ে।
: বিয়েশাদীর কথা বলুন।
: হ্যাঁ। একবার বিয়ে হয়েছিল। বাসর রাতে ঘরে ঢুকতে পারিনি, সারা রাত ঘরের বাইরে ছিলাম। আমার স্ত্রীর আবার মশার কয়েল না জ্বালালে ঘুম পায় না। তাই ছাড়াছাড়ি হয়ে গেল।
: আপনার শখ?
: সুন্দরী মেয়েদেরকে কামড়ানো। সুন্দরী মেয়ে দেখলে উড়ে গিয়ে কামড়াতে ইচ্ছে করে।
: জীবনের স্মরণীয় কোনো দুর্ঘটনার কথা বলুন।
: একবার এক সাপকে কামড়েছিলাম। তারপর তিন দিন হসপিটালের আইসিইউতে থাকতে হয়েছিল।
: ঠিকাছে, ঠিকাছে। সাক্ষাৎকার শেষ পর্যায়ে।
: আমিও আর সময় দিতে পারছি না।
: আমি মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি। আমাদের অনুষ্ঠানে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
: আমার তরফ থেকে কিঞ্চিৎ উপহার। এই নিন এক প্যাকেট মশার কয়েল।
: ভালো কথা, মশার কয়েলে মশা মরে না কেন?
: মশা মরে গেলে কয়েল কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে না!
-তুহীন চৌধুরী