লাইক হোক প্রেমিকার
প্রেমিকা ব্যতীত অন্য কোনো মেয়ের প্রোফাইল পিকচারে ভুলেও লাইক দেবেন না। অন্য মেয়েদের ছবিতে লাইক দেওয়া প্রেমিকাদের চোখে ফেসবুকীয় প্রেমোদণ্ডবিধি প্রযোজ্য হতে পারে।
যত তেল তত প্রেমপ্রেমিকরা তেল দেয় ফেসবুকে প্রেমিকার ইনবক্সে। ইনবক্সকে তেলের ডিপো বানিয়ে ফেলুন। চ্যাট শুরু করুন প্রেমিকার গুণকীর্তন দিয়ে।
শেষ করুন অধিক প্রশংসা না করতে পারার আক্ষেপ দেখিয়ে। চ্যাটিংয়ের মাঝে অন্য মেয়েদের তুলনায় আপনার প্রেমিকা কতটা রূপবতী, সংবেদনশীল, মায়াবতী, অতুলনীয় তার ব্যাখ্যামূলক বর্ণনা দিন।
সেলফি তুমি মহান
আপনি আদর্শ, যোগ্য এবং সেরা ফেসবুক প্রেমিক হতে চান? তাহলে অবশ্যই মোবাইলে ভালো রেজুলেশনের ফ্রন্ট ক্যামেরা কিনে প্রেমিকার সঙ্গে ডেটিং করতে বের হোন। ‘কথা কম সেলফি বেশি’- এই নীতি অনুসরণ করে যেখানে সেখানে যখন-তখন সেলফি তুলুন এবং তাৎক্ষণিক চেকইন সহকারে ছবি ফেসবুকে আপলোড করুন। অন্যদের হোমপেজে আপনাদের সেলফির ঝড় বইয়ে দিন। অন্যরা আপনাদের সেলফি পোস্টে বিরক্ত হলেই ধরে নেবেন প্রেমিকা আপনার ফেসবুক কর্মতৎপরতায় সন্তুষ্ট হচ্ছে।
সেলফি আপলোডের সময় লক্ষ্য রাখবেন, আপনার চেয়ে আপনার প্রেমিকার ছবি বেশি ভালো এসেছে কিনা। সেলফি দেখে কোনো মেয়ে যদি আপনার প্রেমিকার প্রশংসা না করে আপনার প্রশংসা করে তাহলে খবর আছে। প্রেম ফেসবুকের জানালা দিয়ে পালাবে।
জাস্ট নাউতে লাইক
ফেসবুকে আদর্শ প্রেমিক হতে হলে প্রেমিকার ছবি কিংবা অর্থহীন, লুতুপুতুমার্কা যে কোনো স্ট্যাটাস বা ছবি পোস্ট দেওয়ার পাঁচ সেকেন্ডের ভিতরে আপনার লাইক দিতে হবে। এ জন্য সর্বক্ষণ বসে থাকতে হবে ফেসবুকের দুয়ারে। বাঘের মতো ওঁত পেতে থাকতে হবে। শিকারের নামে প্রেমিকার পোস্ট হোমপেজে আসামাত্র জাস্ট নাউতে লাইক দিয়ে বুঝিয়ে দিতে হবে আপনি লাইনে আছেন। দরকার পড়লে প্রেমিকার প্রোফাইলেই সারা দিন কাটিয়ে দিতে পারেন। এতে জাস্ট নাউতে লাইক মিস হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কমে যাবে। বাড়তি টিপস, কেবল প্রেমিকার পোস্ট নয়, তার সব আত্মীয় বন্ধু-বান্ধবের পোস্টে লাইক দেওয়াটা প্রেমিকার সন্তুষ্টি হিসেবে ধরে নেওয়া যায়। তবে ওদের পোস্টে লাইকের পরিমাণ যেন প্রেমিকার পোস্টের লাইকের চেয়ে বেশি না হয়ে যায়।