শিরোনাম
সোমবার, ১১ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

ঈদ অনুষ্ঠানমালায় দর্শকদের জন্য এক হালি চ্যালেঞ্জ

তানভীর আহমেদ

ঈদ অনুষ্ঠানমালায় দর্শকদের জন্য এক হালি চ্যালেঞ্জ

টেলিভিশনে বিশেষ ঈদ অনুষ্ঠানমালা প্রচার হয়ে থাকে। একসময় তিন দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানমালা প্রচার হতো। এখন সেটা রাবারের মতো এক সপ্তাহ পর্যন্ত টেনেটুনে বাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে। এই দীর্ঘকালব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে দর্শকদের বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে টিভি চ্যানেলগুলো।

প্রথম চ্যালেঞ্জ, ‘আজ ঈদের কততম দিন?’ এই প্রশ্নের উত্তর ঠিক খুঁজে পাওয়া অতি জরুরি। নইলে পছন্দের অনুষ্ঠান মিস করবেন। ঈদের পরদিন পর্যন্ত বিষয়টা পরিষ্কার মনে থাকে। পরদিন থেকেই প্যাঁচটা লাগা শুরু হয়। কবে জানি ঈদ হইছে?— এটা মনে করে, বার ও তারিখ যোগ করে আজকের দিনে পৌঁছুতে হয়।

দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ, বিজ্ঞাপন ঝড়। বিজ্ঞাপন ঝড় বিগত বছরগুলোয় উঁচুমাত্রায় টিভি অনুষ্ঠানের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। এই ঝড় লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে যায় নাটকের গল্প, গতি ও স্বাদ। হারিয়ে যায় নাটক ও অনুষ্ঠান। ধৈর্য পরীক্ষায় হেরে যাওয়া দর্শকরা চ্যানেল পাল্টে পরাজয় উদযাপন করেন।

তৃতীয় চ্যালেঞ্জ, ‘লাইনে আছেন তো?’ লাইনে থাকার মানে হলো একই অনুষ্ঠানই দেখছেন কিনা। বিজ্ঞাপন ঝড়ে তাল হারিয়ে অনেকে চ্যানেল পাল্টে মিনিট বিশেক পরে ফিরে আসতে চান। কিন্তু তারা আর আগের নাটকের নিশানা খুঁজে পান না। কোন চ্যানেলে কোন নাটক দেখছিলেন সেটা মনে করা দুরূহ হয়ে ওঠে। এখন আবার একই অভিনয়শিল্পী একাধিক নাটকে অভিনয় করেন। একাধিক চ্যানেলে একই সময় তার একাধিক নাটক প্রচার হয়। দর্শকরা প্যাঁচ লাগিয়ে ফেলেন— এটাই সেই নাটক তো? বিজ্ঞাপন ঝড়ে পড়ে আগের নাটকের গল্প ভুলে গেছেন তাই বেলাইনে হাঁটা শুরু করেন দর্শক। ঘণ্টাখানেক পর টের পান তিনি কমপক্ষে তিনটি নাটকের অংশবিশেষ দেখে সর্বসাকুল্যে একটি অসমাপ্ত নাটক দেখেছেন।

চতুর্থ চ্যালেঞ্জ, ফেসবুক। ফেসবুকে গুঁতোগুঁতি না করাই আজকাল একটা চ্যালেঞ্জ। ঈদের নাটক দেখতে দেখতে ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস না দিলেই নয়। স্ট্যাটাস দিলেই চলে আসে লাইক, কমেন্ট।  শেষতক দেখা যায়, ত্রিশ মিনিটের নাটক দেড় ঘণ্টাব্যাপী প্রচার হওয়ার পরও দর্শক ফেসবুকে ছিল সোয়া এক ঘণ্টা!

সর্বশেষ খবর