ডাক্তারের সঙ্গে প্রেম করার আগে সাবধান। নিচের ঘটনাগুলো ঘটে যাওয়া কিন্তু একেবারে অস্বাভাবিক না।
সম্ভাব্য ঘটনা এক।
প্রেমিকা : এই লক্ষ্মীটি বলো না, আমি মরে গেলে তুমি কী করবে?
ডাক্তার প্রেমিক : তোমার পালস দেখব, রক্তচাপ মাপব, লাইট রিফ্লেক্স দেখব, ইসিজি করব তারপর তোমার বাবা-মাকে বলব, স্যরি, আপনারা দেরি করে ফেলেছেন।
সম্ভাব্য ঘটনা দুই।
প্রেমিকা : তুমি একদম আমাকে বুঝ না। তোমার কথা শুনে আমার হৃদয় থেকে কত দীর্ঘশ্বাস বের হয় তার খবর তুমি রাখ?
ডাক্তার প্রেমিক : ভুলভাল বলো কেন? দীর্ঘশ্বাস, ক্ষুদ্রশ্বাস সব বের হয় ফুসফুস থেকে। হৃদয়-ফিদয় থেকে না।
সম্ভাব্য ঘটনা তিন।
প্রেমিকা : (নিজের বুকে হাত রেখে) তোমার বসবাস আমার বুকের এইখানে। হৃৎপিণ্ডটা যেখানে থাকে, সেখানে।
ডাক্তার প্রেমিক : স্যরি। হৃৎপিণ্ড এইখানে থাকে না। আরেকটু নিচে হবে। আর বুকের মাঝখান থেকে ৫ সেন্টিমিটার বামে। এত ভুল করলে তো হবে না।
সম্ভাব্য ঘটনা চার।
প্রেমিকা : হ্যালো, জানটুশ, আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দাও না।
ডাক্তার প্রেমিক : দিচ্ছি। চিন্তা করো, খোলা মাঠে হেঁটে যাচ্ছ, ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি...
প্রেমিকা : তারপর?
ডাক্তার প্রেমিক : দমকা হাওয়া এসে মাঝে মাঝে তোমাকে নাড়িয়ে দিচ্ছে...
প্রেমিকা : শুধু আমাকে না। তোমাকেও।
ডাক্তার প্রেমিক : আরে যন্ত্রণা, আমাকে আবার কেন? আমি এসবে নাই।
প্রেমিকা : তুমি নাই তো কী আছে?
ডাক্তার প্রেমিক : ভেড়া আছে।
প্রেমিকা : ভেড়া?
ডাক্তার প্রেমিক : হুঁ। ভেড়া। মনে করো, সেই খোলা প্রান্তরে অনেকগুলো ভেড়া। একটা ভেড়া শুয়ে আছে। সেই ভেড়ার ওপর দিয়ে একটার পর আরেকটা ভেড়া লাফ দিয়ে চলে যাচ্ছে। এভাবে ভেড়া গুনতে থাকো। কিছুক্ষণ পর মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে যাবে। তারপর ঘুম এসে যাবে।
সম্ভাব্য ঘটনা পাঁচ।
প্রেমিকা : প্রিয়তম, আমার হাতে হাত রাখো।
ডাক্তার প্রেমিক : রাখলাম।
প্রেমিকা : এবার বলো, কী হচ্ছে তোমার ভিতরে?
ডাক্তার প্রেমিক : সত্যি বলব?
প্রেমিকা : হ্যাঁ, সত্যি করে বলো, আমার ভালোবাসার কসম।
ডাক্তার প্রেমিক : আমার হাতের নার্ভ অ্যান্ডিংয়ের ডিপোলারাইজেশন হচ্ছে। সিগনাল যাচ্ছে স্পাইনাল কর্ডে। সেখান থেকে সেকেন্ড অর্ডার নিউরন সেই
সিগনালকে নিয়ে যাচ্ছে থ্যালামাসে। থ্যালামাস থেকে সিগনাল শেষ পর্যন্ত যাচ্ছে সেরেব্রাল কর্টেক্সের সেনসরি এরিয়ায়। বুঝেছ, বাবু?