বেশির ভাগ সিনেমায় নায়িকারা গরিব ছেলের প্রেমে পড়ে কেন?
— নায়ককে প্রেম দিয়ে বড়লোক করার আশায়।
বাজার করতে আপনার কেমন লাগে?
— খুব ভালো লাগে। সময় পেলেই যাই। কিন্তু মাহী আপু বলেই দাম বেশ বাড়তি রেখে দেয়।
সিনেমায় বখাটে ছেলেরা নায়িকাকে শিস দেয়। আপনার কি এমনটি কখনো হইছে?
— হ্যাঁ, হয়েছে। তবে সেটা নায়িকা হবার আগে, ছোটবেলায়।
এখন হয় না। তার মানে আপনার অ্যাকশনধর্মী সিনেমা দেখে কি তারা ভয় পেয়েছে?
— তাও হতে পারে। তারা ভাবছে আমি এখন রুখে দাঁড়াতে পারি।
নায়করাই সব সময় ফাইটিংয়ে জিতে কেন?
— কারণ নায়িকাদের দেখাতে হয়। নায়করা ভালো ফাইটিং পারে। তাকে যে কারও হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে।
সিনেমায় নায়িকার গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে নায়কের সঙ্গে প্রেম হয়। আপনার এমন কখনো হয়েছে?
— না। তার আর সুযোগ হয়নি। বাস্তবে এমন হলে হয়তো গাড়ি রেখে দৌড়াতে হবে।
আপনার সম্পর্কে গুজব আছে ঘরের মানুষকে নাকি টিভির রিমোট দেন না?
— ঘটনা সত্য। সে রিমোট নিলে একের পর এক চ্যানেল পরিবর্তন করতে থাকে। তাই ঘরের মানুষের কাছ থেকে রিমোট নিয়ে লুকিয়ে রাখি।
মশারি টানানো নিয়ে আবার কোনো কথা হয় না তো?
— না।
আমরা তো মশারি টানাই না।
স্বামীর চোখে আপনি কেমন?
— বেশ ভালো। বেশ অগোছালো।
কোন জায়গা ঘুরতে ভালো লাগে।
— দেশের মধ্যে সিলেট। প্রিয় মানুষের এলাকা বলে কথা।
আপনার থেকেও কেউ ফেসবুকে বেশি লাইক পেলে কেমন লাগে?
— আমার আসলে কিছু মনে হয় না। লাইকের থেকে আমি দেখি কোন সিনেমা হলে কত মানুষ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
ফেসবুকে লাইক বাড়াতে কী করা উচিত?
— বেশি বেশি লাইকে আসা যেতে পারে। মেকআপ করে সুন্দর সুন্দর ছবি দিলেও কাজ হতে পারে।
আপনার সাক্ষাৎকার শেষ। এখন কিছু বলবেন?
— ভাই, দরজা এই দিকে। আসতে পারেন।
সাক্ষাৎকার : ফরিদুল ইসলাম নির্জন