সোমবার, ২০ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

থিওরি অব রিলেটিভিটি

[অবৈজ্ঞানিক ভার্সন]

থিওরি অব রিলেটিভিটি

পরীক্ষা সন্নিকটে এলে ঝান্টুর মেজাজ গরম থাকে। পড়াশোনার একঘেয়ে ভাব কাটাতে দুই কানে হেডফোন লাগিয়ে হাসির ভিডিও দেখে নেয়। পরীক্ষার আগের রাতেও চলে ভিডিও দেখা। পরদিন পরীক্ষা হলে যাওয়ার সময় তার মা বলল, পড়ায় চোখ বুলিয়ে নে। ঝান্টু বলল, রিভিশন দেওয়ার জন্য কি সারারাত বই দেখলাম। ঝান্টুর মা বলে সর্বনাশ! কী করছিস তুই?

সারা রাত সিনেমা দেখছিস? তুই

নির্ঘাত ফেল মারবি। ঝান্টুর মা পুরনো দিনের মানুষ। তিনি বই বলতে সিনেমাকেই বোঝেন। ঝান্টু ভুল ভাঙিয়ে দিতে বলে, এই বই বলতে সিনেমার বই না, পড়ার বই। মা বলল, ওহ!

তার মা পরামর্শ দিল। কারও দিকে তাকাবি না। নিজে যা পারিস তাই লিখবি। ঝান্টু পরীক্ষা হলে ঢুকে জানাতে পারে আজকে পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা। ঝান্টু তো কিছু পড়েনি। প্রশ্ন এসেছে ‘থিওরি অব রিলেটিভিটি কি?’ এক তরুণ সাংবাদিক আইনস্টানকে এ প্রশ্ন করেছিলেন। আইনস্টান কৌতুক করে বলেছিলেন, যখন একজন লোক কোনো সুন্দরী নারীর সঙ্গে এক ঘণ্টা কাটানোর পর তার কাছে মনে হয়, সে এক মিনিট ধরে আছে। কিন্তু যখন তাকে গরম চুলার ধারে এক মিনিট দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়, তার কাছে মনে হয়, সে যেন এক ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছে। এটাই থিওরি অব রিলেটিভিটি। কোনো এক জায়গায় ঝান্টু সেটা পড়েছে। সে উত্তরে লিখল— ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রেমিকার সঙ্গে সময় কাটানোর পর যদি অল্প কিছুক্ষণ মনে হয় তাহলে তাকে ‘থিওরি অব রিলেটিভিটি’ বলে। ঝান্টুর আর কোনো প্রশ্ন কমন নেই। পরীক্ষার সময় বাকি আর ১০ মিনিট। ঝান্টু কলম মুখে দিয়ে বসে আছে। হল পরিদর্শক এসে বলল, তুমি কিছু লিখছ না যে? ঝান্টু যা লিখেছে তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য হল পরিদর্শককে বলল, স্যার ‘থিওরি অব রিলেটিভিটি কি?’ স্যার বলল, তুমি তো তার একটা জ্যান্ত উদাহরণ। এই যে তুমি, তিন ঘণ্টা ধরে বসে আছ, তোমার কাছে তিন ঘণ্টা মনে হচ্ছে কয়েক ঘণ্টা। এটাই তো ‘থিওরি অব রিলেটিভিটি।

তাই তো, কথা সত্য!

 

— মোরছালিন ইসলাম মাছুম

ইতিহাস বিভাগ, রাবি

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর