সোমবার, ২০ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

যা ভাবী আর যা হয়

সোহানুর রহমান অনন্ত

যা ভাবী আর যা হয়

সুন্দরী মেয়ে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিলে—

 

যা ভাবী : সিঙ্গেল থাকার দিন শেষ। নিশ্চয়ই আমার ছবি মেয়েটার খুব পছন্দ হয়েছে। আমার প্রেমটা এবার আর কে ঠেকায়?

যা হয় : মেয়েটিকে টেক্সট করার পর সে আর উত্তর দেয় না। কয়েকদিন পর বলে, ভাইয়া, ‘আমার সাথী মেরা সাথী’ পেইজে একটা লাইক দিয়ে খাঁটি ভাইয়ার পরিচয় দিন।

 

বিয়ে করার আগে—

 

যা ভাবী : বিয়ের পর তো বউ সব রান্না করবে। আমি কেবল পায়ের ওপর পা তুলে খাব। সব টেনশন শেষ। কেবল সুখ আর সুখ।

যা হয় : বউ চিৎকার করে বলে, আজ থেকে তুমি আমার কাপড় ধোয়া, মশারি টানানো, বাজার সব করবে। আমি কেবল সিরিয়াল দেখব। ডিস্টার্ব করেছ তো, ঘরে রান্না বন্ধ।

বসকে তেল মারার চিন্তা করলে—

যা ভাবী : আজ বসকে তেল মারতে মারতে ডুবিয়ে ফেলব। প্রমোশনটা তাড়াতাড়ি দরকার।

যা হয় : বছরের সবচেয়ে দীর্ঘ যানজট। জ্যামে পড়ে দেরি করে অফিসে ঢোকা। সেজন্য বসের ঝাড়ি। প্রমোশনের বদলে চাকরি নিয়ে টানাটানি।

পাশের বাসায় সুন্দরী মেয়ে ভাড়া আসলে—

 

যা ভাবী : দৈনিক বিকালে বারান্দায় দাঁড়িয়ে মেয়েটির সঙ্গে হাই-হ্যালো করতেই হবে। দিনভর লাইভ ডেটিং চলবে। প্রেমটা হয়েই গেল বুঝি!

যা হয় : মেয়ের ভাই পাড়ার শীর্ষ রংবাজ হওয়ায় দুই দিন পরই মাইরের ভয়ে দরজা, জানালা সব বন্ধ। লাইভ ডেটিংয়ের প্রশ্নই আসে না। প্রেম চুলোয় যাক।

 

পকেটে টাকা থাকলে—

 

যা ভাবী : একটা টাকাও কোনো সুন্দরীর পেছনে খরচ করব না। টাকা জমাতে হবে। ভবিষ্যত্টাই গোছাতে হবে। দেখি আমার কাছ থেকে কে কীভাবে খরচ করায়।

যা হয় : গার্লফ্রেন্ড তার বান্ধবীদের নিয়ে আসে। চাইনিজে গিয়ে সব টাকা শেষ করে ফেলে। সবকিছু নীরবে দেখে যাওয়া ছাড়া আর কী করা আছে? প্রেমিকা বলে কথা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর