প্যারাসুট দিয়ে উড়ে উড়ে রমনায় : পয়লা বৈশাখে মেলার আশপাশে অনেক লাইভ ক্যামেরা থাকে। আপনি যদি সবাইকে চমকে দিতে চান তাহলে প্যারাসুট নিয়ে রমনায় গিয়ে নামুন। দেখবেন সব ক্যামেরা আপনার দিকে অটোমেটিক ঘুরে গেছে। বুঝতেই তো পারছেন দেশে-বিদেশে সব চ্যানেলে তখন কেবল আপনিই আপনি। এক সেকেন্ডে সেলিব্রেটি।
ভিক্ষুক সমাজের বিজনেস : কিছু ভিক্ষুক পান্তা ভাতের বিজনেস শুরু করে এদিন আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে যেতে পারেন। তারা রাস্তার মোড়ে মোড়ে দোকান খুলে বসতে পারেন। বিশাল ডিসকাউন্টে পাবলিক সেখান থেকে খাবে। একদিন পান্তা কিনলে ভিক্ষুকেরা সবার আইডি থেকে লাইক দেওয়ারও অফার থাকতে পারে। সুতরাং চোখ কান খোলা রাখুন। দেখুন কখন আবার এই বিজনেস চালু হয়ে যায়।
ইলিশের জন্য ব্যাংক ঋণ : ইলিশ কেনা যেহেতু মধ্যবিত্তদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে তাই ব্যাংকগুলো থেকে ইলিশ মাছ কেনার জন্য সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করতে পারে। এ ছাড়া ইলিশ বিক্রেতারাও চাইলে কিস্তিতে ইলিশ বিক্রি করতে পারে। এমনটা ঘটলে কেউ আর ইলিশ হাহাকার নিয়ে বেদনায় আহত হবে না।
ডিএসএলআর দিয়ে নতুন প্রেম : যাদের প্রেমিকা নেই তারা চাইলেই পয়লা বৈশাখে একটা ডিএসএলআর নিয়ে বের হয়ে যেতে পারেন। কিছু সুন্দরীর ডিএসএলআরের প্রতি দুর্বলতা আছে। অতএব বুঝতেই পারছেন, আপনি ফ্রি ফ্রি তাদের ননস্টপ ছবি তুলতে পারবেন। আর ছবি তোলা শেষ হলে তারাই এগিয়ে এসে বলবে, এই নিন আমার মোবাইল নাম্বার, ছবিগুলো পাঠিয়ে দিতে যোগাযোগ করবেন। এত কিছুর পরই যদি প্রেম জমাতে না পারেন, কি আর করা।
ইলিশ চুরির ভয় এড়াতে : ইলিশের দাম যেহেতু অনেক বেশি তাই ইলিশ চুরির ভয় থাকতেই পারে। এই আতঙ্কে অনেকেরই ঘুম নষ্ট হয়ে যায়। তাই, ইলিশ ফ্রিজে না রেখে আলমারির আদলে ফ্রিজ-লকারে রাখুন। চোর ঢুকে ফ্রিজেই ইলিশ খুঁজবে। সুতরাং বুঝতেই তো পারছেন চোর হবে ব্যর্থ।