সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা

অপরাধ বিশ্লেষণ

অপরাধ বিশ্লেষণ

অপরাধ নির্মূল করতে চাইলে অপরাধের বিচার-বিশ্লেষণ করা জরুরি। সেই জরুরি কাজটিই করেছেন— ইকবাল খন্দকার

 

অপরাধের নাম : কামড়

অপরাধীর নাম : মশক ওরফে মশা

অপরাধীর স্থায়ী ঠিকানা : বাসার নিচের ডাস্টবিন

বর্তমান ঠিকানা : খাটের তলা

অপরাধীর (পরোক্ষ) সহযোগীর নাম : জনৈক ল্যাংড়া মশা। যদিও সে প্রত্যক্ষ কোনো সহযোগিতা করেনি। কেবল ওড়াউড়ি করে মূল অপরাধীকে সাহস যুগিয়েছিল।

অপরাধীর (প্রত্যক্ষ) সহযোগীর নাম : জনৈক তেলাপোকা। কারণ, সে-ই মশারি কেটে মশাকে ভিতরে ঢোকার সুযোগ করে দিয়েছিল।

অপরাধ সংগঠনের স্থান : ঘাড়ের মোটা রগের নিকটবর্তী এলাকা।

অপরাধের মূল উদ্দেশ্য : রক্ত সংগ্রহ

অপরাধের সঙ্গে বাড়তি যন্ত্রণা : চুলকানি

অপরাধ সংগঠনের আগ মুহূর্তে অপরাধীর কর্মকাণ্ড : কানের অদূরে বিরক্তিকর সংগীত পরিবেশন।

অপরাধ সংগঠনের ব্যাপ্তি : প্রায় সাড়ে চার মিনিট

রক্ত সংগ্রহের পরিমাণ : মশার পেটে একপেট

অপরাধীর উপর প্রাথমিক আক্রমণ : ভিকটিমের বউ হাতপাখা ঘুরিয়ে বাতাস করে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।

দ্বিতীয় পর্যায়ের আক্রমণ : অন্ধকারের মধ্যে মৃদু থাবড়া।

তৃতীয় পর্যায়ের আক্রমণ : ঘরের লাইট জ্বালিয়ে রামথাবড়া।

আক্রমণের ফলাফল এবং অপরাধীর শেষ পরিণতি : ভরপেট মশার গায়ে রামথাবড়া পড়লে পরিণতি কী হয়, সেটা কি চোখে আঙুল দিয়ে বোঝানোর দরকার আছে?

অপরাধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া : রক্ত ছিটে স্যান্ডো গেঞ্জির একাংশ মাখামাখি অবস্থা এবং ভিকটিমের মধ্যে ঝিমানি ঝিমানি ভাবের আবির্ভাব। ধারণা করা হচ্ছে, উনি ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হতে যাচ্ছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে সিট বুকিংয়ের কথাবার্তা চলছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর