সোমবার, ২৯ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা
পাঠকের লেখা

আর্থিক ক্ষতিপূরণ চেয়ে প্রেমিকার কাছে পত্র

আর্থিক ক্ষতিপূরণ চেয়ে প্রেমিকার কাছে পত্র

প্রিয়তমা জরিনা,

আমার বারটা বাজিয়ে আশা করি ভালোই আছো। আমি কেমন আছি সেটা তুমি ভালো করেই জানো।

পত্রের শুরুতে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। কারণ, আমি তোমার সঙ্গে প্রেম করেছি। তোমার রূপ দেখে আমি বেহুঁশ হয়ে পড়ি। ঠিক বুঝতে পারিনি তোমার রূপের ওপর মেকআপের অবদানের কথা। তুমি তো জানই আমি সহজ সরল মানুষ। তাই প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে একতরফা খরচ করে গেছি। রিকশা, সিএনজি ভাড়া থেকে শুরু করে আলতা-কাজল, পাউডার, রেস্টুরেন্ট বিল— কি দেইনি! আমার সরলতার সুযোগে আমার পকেটের অবস্থা কাহিল করে দিয়েছিলে। তখন কিছুই বলতে পারিনি। বাসায় এসে শূন্য পকেট দেখে বুকটা শূন্য হয়ে থাকত। তারপরও সব কিছু মেনে নিয়েছি। গত সপ্তাহে তোমার জন্মদিনের পার্টির কথা বলে আমাকে শূন্য করে দিয়েছ। তোমার জন্মদিনে এত খরচ হবে কল্পনা করতে পারলে বিল গেটসও তোমার সঙ্গে প্রেম করার আগে দুবার ভাবত। সে যাকগে। পকেটের বারটা বাজানোর পরও তুমি ক্ষান্ত হওনি। আমার নিঃশ্বাসটুকু রেখে আমারই বন্ধু মফিজের প্রেমে সাড়া দিচ্ছ বলে জেনেছি। হায়, তোমার কাছে আমি তো সব হারিয়েছিই, এখন মফিজের কথা ভেবে বুকটা হু হু করে উঠছে। বেচারা মফিজ!

তোমার পেছনে খরচ করতে করতে আমি শেষ। এখন পার্ট টাইম জব হিসেবে গুলিস্তানে ভিক্ষা করার দিকে পা বাড়িয়েছি। এছাড়া আমার আর কোনো পথ ছিল না। সব পথেই জ্যাম। তুমি আমার কী অবস্থা করেছো এখন নিশ্চয়ই টের পাচ্ছো। আমিও টের পাচ্ছি, তোমাকে ভালোবাসা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল। কানে ধরলাম এই ভুল আর করব না। অন্য কেউ যেন না করে সে ব্যবস্থাও করব। কিন্তু এই মুহূর্তে আমার চলা খুব কষ্ট হয়ে পড়েছে। তোমার পিছনে আমার যত টাকা খরচ হয়েছে সেগুলো হিসাব করে আমাকে ফেরত দিলে উপকৃত হতাম। গুলিস্তানের মোড়ে আসলেই থালা হাতে আমাকে দেখতে পাবে, সেখানেই টাকা দিয়ে দেওয়ার জন্য বিশেষ অনুরোধ রইল।

 

ইতি

তোমার প্রেমিক পল্টু

গুলিস্তান মোড়, ঢাকা

লেখা : তারেকুর রহমান, মিরপুর, ঢাকা

সর্বশেষ খবর