সোমবার, ৩ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা
তিনি বলেছেন

ভুল করে মেয়েদের জুতা কিনে নিয়ে এসেছিলাম

— হৃদয় খান, সংগীত শিল্পী

ভুল করে মেয়েদের জুতা কিনে নিয়ে এসেছিলাম

সাক্ষাৎকারের শুরুতেই যা বলতে চান, বলে ফেলুন—

দুনিয়াতে এত লোক থাকতে আমার ইন্টারভিউ নিচ্ছে কেন? ঘটনাটা বোঝার চেষ্টা করছি কিন্তু বুঝতে পারছি না। এর পেছনে বা সামনে কারও কোনো হাত আছে কিনা— সেটাও বোঝার চেষ্টা করছি।

 

‘হৃদয়ের কথা যা বলিতে ব্যাকুল...’

ঢাকা নগরীতে ড্রেনেজ সিস্টেম থাকার পরও পানি জমে কীভাবে? এ কথা ভেবে ভেবে চোখে পানি এসে পড়ে।

 

যে প্রশ্নটি আপনাকে করা উচিত না বলে মনে করেন— যদি বলতে তাহলে সে প্রশ্নটাই করতাম

আপনি জীবনে কতবার ম্যানহোলে পড়েছেন?

 

ছোট বেলায় আপনি কীভাবে চলতেন?

প্রথমত, আমিও হেঁটেই চলতাম। ছোটবেলা থেকে আমি শান্ত হলেও মন যেদিকে চায় সেদিকে ছুটে চলতাম। বোঝেন, এবার তাহলে আমি কীভাবে চলেছি।

 

ছোটবেলায় যা স্বপ্ন দেখতেন—

বেশির ভাগ স্বপ্নই মনে নেই। যতটুকু মনে পড়ে, ক্লাসে কাগজ দিয়ে উড়োজাহাজ বানাতাম। আর স্বপ্ন দেখতাম আমি যদি পাইলট হয়ে বিমান উড়াতে পারতাম!

 

একটি বিনামূল্যে উপদেশ দিন আমাদের—

আমার মতো আপনারাও টাকা সাশ্রয় করতে চিনি ছাড়া চা পান করুন।

 

বড় সাধ জাগে—

জাদুর মাদুরে বসে আটলান্টিক সাগর পাড়ি দিয়ে আমেরিকা চলে যেতে।

 

যে বিষয়টি সবচেয়ে ভালো লাগে—

সাউন্ডকে বেশি ভালোবাসতাম। মনে করেন ক্লাসে কেউ শব্দ করে গান গাইলেও ভালো লাগত।

 

সর্বসাধারণকে যা জানাতে চান—

ছোটবেলা থেকেই গানের জন্য স্কুলে সুপার হিরোদের মতো কাজ করতাম।

 

যে কথাটি মনে পড়লে এখনো হাসি পায়—

জুতার দোকানে জুতা কিনতে গিয়ে ভুল করে মেয়েদের জুতা নিয়ে এসেছিলাম। (ভাই, এটা পত্রিকায় ছাপায়েন না)

 

‘আমাদের ছোট নদী’ কবিতা পড়ে বড় হয়েছেন। এবার আপনাদের নদী সম্পর্কে জানতে চাই—

আমাদের নদী এমনিতে ছোট হলে কী হবে, পানি কিন্তু কম না। পরলে টের পাবেন।

 

গায়ক না হলে কী হতেন?

আর যা-ই হতাম নেতা হতাম না।

 

সবশেষে যা বলতে চান—

আসুন, আমরা সবাই রকমারি রম্যতে ফরমালিনমুক্ত  ইন্টারভিউ দিই।

 

 ♦ ইন্টারভিউ : ফরিদুল ইসলাম নির্জন

সর্বশেষ খবর