সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

মশার একান্ত সাক্ষাৎকার

মশার একান্ত সাক্ষাৎকার

কেমন আছেন, স্যার?

মশা : আমি আপনার স্যার হইলাম কী করে? আমি তো দূরের কথা, কামড়াকামড়ি করা ছাড়া আমাদের চৌদ্দগোষ্টির মধ্যে আর কারও কোনো প্রফেশন ছিল না, যে জন্য আপনি সেই সুবাদে স্যার ডাকবেন।

 

এখন টিভি কিংবা পত্র-পত্রিকায় আপনাদের নিয়েই সবাই আলোচনা করছে। আপনারা তো এখন সেলিব্রেটি!

মশা : সেলিব্রেটি সবসময়ই ছিলাম। আগে পাত্তা দেননি সেটা বলেন। এখন বলুন চিকুনগুনিয়া হয়ে গেছে, নাকি এখন প্রসেস চলছে? এত কোমল স্বরে কথা বলছেন যে। ব্যাপারটা খটকা লাগছে।

 

ভয় দেখাচ্ছেন কেন? অবশ্য চিকুনগুনিয়া এখনো হয়নি—

মশা : বড় বাঁচা বেঁচেছেন। পত্র-পত্রিকায় চিকুনগুনিয়ার খবর পড়ে আমি নিজেই তো আতঙ্কে থাকি।

 

বলেন কী! কেন?

মশা : সবাই একটা বিষয় নিয়ে ভয় পাচ্ছে। সেখানে আমি ভয় না পেলে কেমন খাপছাড়া দেখা যায় না? হাজার হলেও মশারা তো সমাজের বাইরের কোনো জীব না।

 

তাও ঠিক অবশ্য! অন্য প্রসঙ্গে আসি। পুরো ঢাকাতেই আপনাদের রাজত্ব ক্রমেই বাড়ছে। এই সাফল্যের রহস্য কী?

মশা : প্রথমত এই সাফল্যের পুরো ক্রেডিট আপনাদের। মশাদের বেড়ে ওঠার পুরো ব্যবস্থা আপনারাই করে রেখেছেন। ময়লা-আবর্জনা স্তূূপ করে রাখেন। জলাধার পরিষ্কার করেন না। আপনাদের সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত হর্তাকর্তারাও নাকে তেল দিয়ে ঘুমান।

 

কিন্তু কেউই তো আপনাদের সহযোগিতার দায় স্বীকার করছেন না। বরং শুরু থেকেই একজন আরেকজনের ওপর দায় দিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করছে—

মশা : সেটাই কালচার। অত বড়সড় বিষয় নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই না। আমরা আমাদের কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে করে যাচ্ছি। কামড়াচ্ছি আরকি।

 

♦  ইন্টারভিউ : আবিদুল ইসলাম রিমন

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর