সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

যে কারণে ইঞ্জিনিয়ার পাত্র চাই

রাফিউজ্জামান সিফাত

ধৈর্য ও সহনশীলতা

ইঞ্জিনিয়ার পাত্রদের ধৈর্য হিমালয় থেকে মাত্র দুই ইঞ্চি কম। ভার্সিটি লাইফে একের পর এক কোর্স, দীর্ঘক্ষণ ক্লাসে বসে প্রফেসরদের জটিল জটিল লেকচার গিলে ফেলা, দিস্তা দিস্তা ল্যাব রিপোর্ট লেখা, দিনের পর দিন এক্সাম দিতে দিতে তারা একেকজন হয়ে যায়  সহনশীলতার পর্বত। এই অভ্যাস বিবাহ-পরবর্তী জীবনেও বয়ে চলে। স্ত্রীর সঙ্গে সারা দিন বিন্দুমাত্র বিরক্তি প্রকাশ না করে ‘ডানে গেলে ডানে, বামে গেলে বামে’ চলে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

 

ঝক্কি ম্যানেজ করার ক্ষমতা

ইঞ্জিনিয়ারদের জীবন প্রায় ট্যাকটিক্সের জীবন। পরীক্ষার আগের রাতে দৌড়াদৌড়ি করে লেকচার শিট জোগাড় করা, পড়াশোনা করে পাস মার্ক ম্যানেজ করার মতো সংসার জীবনেও অব্যাহত থাকে। স্ত্রীর মন ম্যানেজ করার গুণ তারা দ্রুত আয়ত্ত করে ফেলে। তাই প্রতিদিন বাজার করা, লন্ড্রিতে কাপড় আনা-নেওয়া, বাসার নিচে ময়লার ঝুড়ি ফেলে আসা এমনকি প্রতি রাতে মশারি টাঙানোর কঠিন কাজও ম্যানেজ করে ফেলার সাবলীল গুণ তারা অর্জন করে ফেলে। ফলে সংসার হয় ঝামেলাবিহীন।

 

রান্নাবান্নায় নো টেনশন

ইঞ্জিনিয়ার পাত্রদের খাওয়া-দাওয়া  নিয়ে স্ত্রী একেবারেই নির্ভাবনায় থাকতে পারেন। অধিকাংশ ইঞ্জিনিয়ার ভার্সিটি লাইফে হোস্টেলে যে কোয়ালিটির খাবার খেয়ে চার বছর পার করে আসে— তারপর দুনিয়ার কোনো রান্নাই আর খারাপ লাগে না। যে কোনো বিস্বাদ তরকারি পেট ভরে খেয়ে তারা তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতে পারে।  

 

স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা 

ইঞ্জিনিয়ার পাত্ররা নিরাপদ ধরনের। ভার্সিটি লাইফে একের পর এক ক্লাস টেস্ট, ল্যাব টেস্ট, সেমিস্টার পরীক্ষার পর সামান্য যা অবসর পায় তখন ভিডিও গেমস আর সিলিকন ভ্যালি বা গেম অব থ্রোনসের মতো টিভি সিরিজ দেখতে গিয়ে অন্য কোনো মেয়ের দিকে তাকানোর সুযোগ হয়ে ওঠে না। মেয়েদের সঙ্গে তাদের এক অসীম দূরত্ব তৈরি হয়ে যায়। তারা ভাবতেই পারে না, কোনো মেয়ে তাদের পছন্দ করে বিয়ে করতে পারে। তাই বিয়ের পর স্ত্রী-ই হয়ে ওঠে সবচেয়ে প্রেমময় মানুষ।

সর্বশেষ খবর