রোগী : ডাক্তার সাহেব, আমার একটা অদ্ভুত রোগ হয়েছে।
ডাক্তার : কী রোগ?রোগী : আমি অল্পতেই রেগে যাই। গালাগালি করি।
ডাক্তার : ব্যাপারটা একটু খুলে বলুন তো।
রোগী : ওই মিয়া! এক কথা কয়বার খুইলা কমু!
প্রেমিক-প্রেমিকা নিজেরাই নিজেদের বিয়ে ঠিক করেছে।
প্রেমিক : আমাদের বিয়ের এ খবরটা বিয়ের আগের দিন পর্যন্ত কাউকে আমরা জানাব না। খবরটা শুধু বিয়ের আগের দিন আমরা সবাইকে জানাব এবং এইটা একটা সারপ্রাইজ হবে।
প্রেমিকা : আমি শুধু একজনকে এ খবরটা জানাতে চাই।
প্রেমিক : কেন?
প্রেমিকা : পাশের বাড়ির কালু আমাকে একদিন বলেছিল, কোনো গাধাই নাকি আমাকে বিয়ে করবে না। তাই ওকে জানাতে হবে।
ছোট একটি ছেলে। একটি বাসার সামনে দাঁড়িয়ে অনেকক্ষণ ধরে ডোরবেল বাজানোর চেষ্টা করছে সে।
এক বৃদ্ধ তার এ চেষ্টা দেখে বললেন, ‘বাবু, কী করছ তুমি?’ ছেলেটি বলল, ‘কাকু, আমি এই ডোরবেলটি বাজানোর চেষ্টা করছি।’
এ কথা শুনে বৃদ্ধটি হাসিমুখে বেলটি নিজেই বাজিয়ে দিয়ে বললেন, ‘এবার বলো, তোমার জন্য আর কী করতে হবে?’ ‘এবার জলদি পালান। ধরা পড়ে গেলে খবর আছে!’ এ কথা বলেই পিচ্চি দিল ভোঁ দৌড়।
এক তরুণী চাকরিজীবী, রোজ অফিসে বেশ দেরি করে আসেন। অফিসের বস, এ ঘটনা জেনে অনেকবার ওই তরুণীকে শাসিয়েছেন। অথচ আজও সে দুই ঘণ্টা দেরি করে অফিসে এসেছে!
বস : আচ্ছা, আজও দেরি হলো কেন?
তরুণী : কী করব স্যার, রাস্তায় এক বখাটে ছেলে পিছু নিয়েছিল!
বস : বল কী! তাহলে তো দ্রুত হেঁটে আরও এক ঘণ্টা আগে অফিসে পৌঁছানোর কথা, দেরি হলো কেন?
তরুণী : আর বলবেন না, ছেলেটা এত আস্তে হাঁটে!
এক লোক বারে গিয়ে ছয় পেগ হুইস্কির অর্ডার দিল। বেয়ারা তার টেবিলে পর পর ছয় পেগ সাজিয়ে দিয়ে গেল। লোকটি চার পেগ খেয়ে দাম দিয়ে রওনা দিল। বেয়ারা ডেকে বলল, ‘স্যার দু পেগ খেলেন না?
লোক : না ডাক্তার বলছে আস্তে আস্তে কমিয়ে আনতে।
স্বামী ও স্ত্রীর তুমুল ঝগড়ার পর।
স্ত্রী : আমি বাবার বাড়ি যাচ্ছি। আর আমি তোমাকে ডিভোর্স দেব!
স্বামী : এই, এই নাও চকলেট খাও।
স্ত্রী : থাক থাক, আর রাগ ভাঙাতে হবে না ।
স্বামী : কেন, জান না, শুভ কাজের আগে, একটু মিষ্টিমুখ করতে হয়?
রাস্তায় দুই বন্ধুর দেখা। এক বন্ধু খোঁড়াচ্ছে—
: কিরে, তোর পা ভাঙল কীভাবে?
: আর বলিস না, সিগারেটটা ছুড়ে মেরেছিলাম খোলা ম্যানহোলে।
: তাতে পা ভাঙবে কেন?
: অভ্যাসবশে পা দিয়ে মাড়িয়ে নেভাতে গিয়েছিলাম।
এলোপাতাড়িভাবে রাজপথ দিয়ে ছুটে যাচ্ছে একটি গাড়ি। আরোহীর সিটে বসে আছেন মিসেস শাপলা।
মিসেস শাপলা : ড্রাইভার! তুমি আমাকে মারবার ফন্দি এঁটেছ নাকি?
ড্রাইভার : ভয় পাবেন না ম্যাডাম। বেশি ভয় করলে আমার মতো চোখ বন্ধ করে বসে থাকুন!
ভাড়াটে : এ বাসায় আর থাকা যাবে না।
বাড়িওয়ালা : কেন, কী হয়েছে।
ভাড়াটে : গত রাতে ঘরের মেঝেতে যে ইঁদুরের যুদ্ধ দেখলাম।
বাড়িওয়ালা : দুই হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে ইঁদুরের যুদ্ধ দেখবেন না তো হাতির যুদ্ধ দেখবেন?
একজন বাস ড্রাইভার আর এক পাইলট বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছিল—
বাস ড্রাইভার : আমি মাঝে মাঝে আমার যাত্রীদের খাটিয়ে নিতে পারি। কিন্তু তুই পারিস না।
পাইলট : কী রকম?
বাস ড্রাইভার: তুই কি মাঝপথে প্লেন থামিয়ে বলতে পারবি, ‘ভাইয়েরা, একটু নামেন, ধাক্কা দিতে হবে?’
এক কিপটে লোক ডাক্তারের কাছে গেল ইউরিন টেস্টের জন্য। টেস্ট শেষ করে সে তার ইউরিনের বোতলটা সঙ্গে নিয়ে বাসায় চলে এলো।
স্ত্রী তা দেখে অবাক হয়ে বলল, সে কি? তুমি এইটা নিয়ে এলে কেন?
লোকের জবাব, ডাক্তার বলেছে আমার ইউরিনে নাকি সুগার আছে। এখন চিনির যে দাম। তাই সঙ্গে করে নিয়ে এলাম।
এক পকেটমার আরেক পকেটমারকে বলছে, ‘তুই যে একটু আগে ‘হ্যালো’ বলে এক লোককে খুব আন্তরিকভাবে জড়িয়ে ধরলি, সে কে? নাম কী তার?’
: কী যেন! আমি কি নাম জানি নাকি? দেখি, তার মানিব্যাগে নিশ্চয় পরিচয়পত্র আছে।
দেশের সীমান্তে দালালের কাজ করে পিঁপড়া। একদিন হাতি তাকে বলল, ‘আমাকে বর্ডারটা পার করিয়ে দাও না!’
পিঁপড়া : ঠিক আছে, আমার সঙ্গে চল।
দুজন হাঁটতে শুরু করল সীমান্তের উদ্দেশে।
পিঁপড়া সামনে, হাতি পেছনে। এমন সময় সীমান্তরক্ষী চিৎকার করে জিজ্ঞেস করল, ‘কে? কে যায় ওখানে?’
পিঁপড়া : এটা আমি, পিঁপড়া।
সীমান্তরক্ষী : তা তো দেখতেই পাচ্ছি; কিন্তু সঙ্গে কে?
রীতিমতো রেগে ওঠে বলল পিঁপড়া, ‘কে মানে? সঙ্গে করে খাবারও নিতে পারব না নাকি!’
: আমার পাওনা টাকা দেবেন কিনা বলেন?
: আজ পারছি না, কাল দিয়ে দেব।
: ও কথা অনেক শুনেছি। আজ এক্ষুণি টাকা দিতে হবে।
: দেব না, কী করবেন?
: কিছুই করব না, শুধু আপনার অন্য পাওনাদারদের বলব যে আমার পাওনা টাকা আপনি মিটিয়ে দিয়েছেন।
একবার এক শামুক, এক নেকড়ে আর এক খরগোশ মদ খাবে। তো ওরা করল কি শামুককে ড্রিংকস কেনার জন্য পাঠাল। তো অনেকক্ষণ পেরিয়ে গেল। ধীরে ধীরে সবার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেল। সবাই কাউমাউ শুরু করল। নেকড়ে তো রেগেমেগে আগুন। নেকড়ে বলল, আমি হলে এতক্ষণে চারবার নিয়ে আসতাম।
তখন শামুক দরজার কাছ থেকে বলছে এরকম বললে আমি কিন্তু যাব না।
মানসিক হাসপাতালের চিকিৎসক প্রতিদিনের মতো সকালে গিয়েছেন রোগীদের খোঁজখবর নিতে। এক নম্বর কক্ষে ঢুকে দেখেন একজন মাটিতে বসে খুব মনোযোগ দিয়ে কিছু একটা কাটছে। আরেকজন উল্টো হয়ে ছাদের একটা কাঠে পা বেঁধে ঝুলে আছে! চিকিৎসক প্রথমজনকে জিজ্ঞেস করলেন, কী করছেন আপনি?
: কেন দেখতে পারছেন না, আমি একটা কাঠ কাটছি!
: ও আচ্ছা, কাঠ কাটছেন, ভালো কথা।
ছাদের জনকে দেখিয়ে বললেন, কিন্তু উনি ছাদে এভাবে উল্টো হয়ে ঝুলে কী করছেন?
: কী আর করবে, সে আসলে নিজেকে একটা বাল্ব ভাবছে।
চিকিৎসক চিন্তিত মুখে বললেন, কিন্তু তার সব রক্ত তো মাথায় চলে এসেছে, ভয়ানক ব্যাপার এটা! আপনি তার বন্ধু হয়েও এটা দেখছেন! তাকে নামানোর চেষ্টা করছেন না কেন?
প্রথমজন দাঁত কেলিয়ে হেসে বলে, আরে ধুর, ওরে নামাইলে তো সব অন্ধকার হয়ে যাবে! তখন আমি কাজ করব ক্যামনে?
সেরের ওপর সোয়া সের
শফিক সাহেব একজন কোটিপতি। দামি গাড়ি তার। একদিন ট্রাফিক সিগন্যালে তার গাড়ির পাশে এসে দাঁড়াল লক্কড়ঝক্কড় মার্কা একটা গাড়ি। পাশের গাড়ির ড্রাইভার জানালা দিয়ে মাথা বের করে বলল, ‘তোমার গাড়িতে কি টেলিফোন আছে?’
শফিক সাহেব বললেন, ‘নিশ্চয়ই’।
ড্রাইভার : হু। আমার গাড়িতেও আছে। আচ্ছা, তোমার গাড়িতে কি ফ্যাক্স মেশিন আছে।
শফিক : আছে।
ড্রাইভার : আমার গাড়িতেও আছে। আচ্ছা, তোমার গাড়ির পেছনে কি বিছানা আছে, আয়েশ করে ঘুমানোর মতো?
শফিক : না তো!
ড্রাইভার : আমার গাড়িতে আছে।
শফিক সাহেবের আঁতে ঘা লাগল। একটা লক্কড়ঝক্কড় গাড়িতে বিছানা আছে, আর তার গাড়িতে নেই! এ হতে পারে না। দোকানে গিয়ে তিনি তার গাড়ির পেছনে একটা সুন্দর দামি বিছানা বসিয়ে নিলেন। এবার এক হাত দেখে নেওয়া যাবে সেই ড্রাইভারকে।
একদিন শফিক দেখলেন, রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে সেই গাড়িটা। গাড়ির ভিতরে কিছু দেখা যাচ্ছে না। শফিক জানালায় টোকা দিলেন। সাড়া নেই। বেশ কয়েকবার টোকা দেওয়ার পর জানালা খুললেন সেই ড্রাইভার। লোকটার গায়ে একটা তোয়ালে জড়ানো। বিরক্ত ভঙ্গিতে বললেন, ‘কী চাই?’
শফিক : দেখ, আমার গাড়িতে কী সুন্দর শোয়ার ব্যবস্থা করেছি।
ড্রাইভার : ধুত! তোমার এ ফালতু কথা শোনার জন্য আমাকে গোসলখানা থেকে বের হতে হলো!
গান শোনানো
বড় ভাই ছোট ভাইকে গান শোনাচ্ছে—
বড় ভাই : আমার গান তোর কেমন লাগল?
ছোট ভাই : তোমার আসলে টিভিতে চান্স পাওয়া উচিত।
বড় ভাই : আমি কি সত্যিই এত ভালো গান করি?
ছোট ভাই : না, মানে টিভিতে হলে চ্যানেলটা বদলে দিতে পারতাম।