সোমবার, ১২ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

একটি প্রেমের রচনা যেভাবে লেখা যেতে পারে

একটি প্রেমের রচনা যেভাবে লেখা যেতে পারে

সূচনা : সৃষ্টির আদিলগ্ন থেকে প্রেমলীলা চলে আসছে। যুগের পরিবর্তনে ও প্রযুক্তির বিবর্তনে বিভিন্ন সময় এই প্রেম বিভিন্ন রূপ নিয়ে আসছে।

 

সংজ্ঞা : নানা মুনির নানা মত। বিশিষ্ট প্রেম গবেষক প্রেম কুমার হারাধন বলেন, ‘প্রেম চুম্বকের মতো।’ নাম না জানা এক বিখ্যাত প্রেমবিজ্ঞানী প্রেমকে কাঁঠালের আঠার সঙ্গে তুলনা করেছেন।

 

প্রেমের লক্ষণ : কেমন কেমন জানি লাগে। সুন্দরী মেয়েদের প্রতি ছেলেরা সেই যুগ থেকে দুর্বল। আর মেয়েরা যখন বুঝতে পারে যে, ওমুক ছেলে তার প্রতি দুর্বল তখন সে সেই ছেলেটাকে অনেকটা নাকে বড়শি দিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়ায়  পেছন পেছন।

 

পোশাক-আশাক : প্রিয়কে প্রিয়সীর পছন্দে আর প্রিয়সীকে প্রিয়র পছন্দে চলতে হয়। আর এটাকেই প্রেম প্রেম ভিশন বলা হয়।

নিয়মানুবর্তিতা : স্কুল-কলেজে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যারা কিনা সারা বছরের স্কুল-কলেজের চৌকাঠ পাড়ায় না। এই টাইপের ছাত্রছাত্রীরা প্রেমে পড়লে রাতে পেরেক দিয়ে ফুটো করে হাজির হয় স্কুল-কলেজে। আর পড়া হোক বা না হোক কোনো ক্লাস একদমই মিস করে না। কোনো প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী যদি তার কোনো কলিগের প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে বসে তাহলে তো অফিসের উন্নতি সে একজনই করিয়ে ছাড়বে। উপকারিতা : প্রেম এমন একটি উপকারী আইটেম সেটা বলে কিংবা লিখে বোঝানোর নয়। এর বিস্তৃতি অতীব ব্যাপক ও প্রসারিত। প্রেমে পড়লেই মানুষ হ্যান্ডসাম সাজতে চেষ্টা করে। চেষ্টা করে ভিআইপি মডেলের নায়ক হওয়ার, কেননা প্রেমে পড়লে মানুষ সিনেমা একটু জোর দিয়ে দেখে এবং দেশ-বিদেশের হিরো-হিরোইনকে প্রাণপণে অনুসরণ করতে থাকে। এটাই চলতে থাকে।

 

অপকারিতা : কথায় আছে প্রেম রোগ কঠিন রোগ, সহজে তা সারে না। এই রোগের ওষুধও কোনো ডাক্তার দিতে পারে না। এখন আপনিই বলুন, যে রোগের ওষুধ কোনো ডাক্তার দিতে পারে না সেটা কি যেনতেন রোগ হতে পারে? এই ঘাতক রোগের কবলে পড়লে মানুষ সত্য কথা বলা ভুলে যায়। মিথ্যাকে জানে-পরানে চর্চা করে। কেননা মিথ্যা কথা ছাড়া প্রেম টিকিয়ে রাখা বিরাট বড় কঠিন।

 

উপসংহার : শেষতক বলা চলে ‘প্রেমে স্বর্গ প্রেমে নরক প্রেমে বাঁচা মরা। যেজন করিয়াছে প্রেম সেই তো খেয়েছে ধরা।’ আসুন সবাই সেই পুরনোকালের এনালগ প্রেম করি। এবং আধুনিক যুগের ডিজিটাল প্রেমকে না বলি।

 

♦  এস আর শানু খান, মনোখালী, মাগুরা 

সর্বশেষ খবর