শিরোনাম
সোমবার, ২৫ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

ফুটবলের অদ্ভুত সমর্থক

রাফিউজ্জামান সিফাত

ফুটবলের অদ্ভুত সমর্থক

ভোল পাল্টানো সমর্থক : ঢাকার রাস্তায় গাড়ির লেনও এত দ্রুত পরিবর্তিত হয় না যতটা দ্রুত পরিবর্তন ঘটে এ শ্রেণির সমর্থকদের সমর্থন। খেলা শুরুর আগে দলের হইচই করে পাড়া মাতিয়ে দলের পতাকা টাঙিয়ে, জার্সি গায়ে, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে যে দলের জন্য সমর্থন দিতে থাকে, ম্যাচে সেই দলের অবস্থা খারাপ দেখলেই তারা ভোল পাল্টাতে শুরু  করে। এদের কাছে দু’দলের জার্সিই খুঁজে পাওয়া যায়। খেলার মধ্য বিরতিতে প্রথমে জার্সি খুলে অন্য দলেরটা পরে নিতে বিন্দুমাত্র কালক্ষেপণ করে না। খেলা শেষ হওয়ার আগেই তাদের আগের ফেসবুক পোস্ট ‘অনলি মি’ হয়ে যায় করে, ছাদ থেকে পতাকা নেমে যায়। পরবর্তী খেলার আগেই তারা পুরোদুস্তুর ভিন্ন অন্য দলের সমর্থকে পরিণত হয়।

 

ট্রল সমর্থক : এ শ্রেণির সমর্থকদের প্রধান কাজ বিপরীত দলের সমর্থকদের খোঁচানো। নিজ দলের খেলায় তারা মনোযোগ দেয় না বরং খেলার পুরোটা সময় তাদের কড়া নজর থাকে বিপরীত দলের খেলোয়াড়দের ভুল ধরায়। পক্ষের গোলে নয়, বিপক্ষের গোল মিসেই এদের অপার আনন্দ। 

 

ফেসবুক সমর্থক : এরা খেলা দেখেই ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার জন্য। ফলাফলে হালকার ওপর ঝাপসা চোখ বুলিয়ে খেলা চলাকালীন ৯০ মিনিট তারা ফেসবুক গরম করে রাখে বিশেষজ্ঞ মতামতে। ঘড়ির সেকেন্ডের কাঁটাও এত দ্রুত ঘোরে না যতটা দ্রুত তারা একের পর এক ফেসবুক পোস্ট দিয়ে থাকে।

 

সমালোচক সমর্থক : খেলা উপভোগের নয় বরং প্রেসারের। এরা চোখ মুখ শক্ত করে খেলা দেখে। রেফারি থেকে শুরু করে পেলে ম্যারাডোনা থেকে শুরু করে হালের মেসি রোনালদো কেউ এ শ্রেণির সমালোচনার ছোবল থেকে রক্ষা পায় না। কেবল খেলোয়াড়দের সমালোচনাই নয়, অন্যান্য দলের সমর্থকরা খেলা বোঝে না এ মর্মে  প্রায়শঃই ফতোয়া প্রদান করে থাকেন।  

 

গ্যালারি সমর্থক : এরা নির্বিবাদী, আনন্দখোর। কোনো নির্দিষ্ট দলের সমর্থনে সময় ব্যয় না করে গ্যালারির রূপবতীদের ওপর নজর রাখতেই তাদের অধিক সুখ। মুখরোচক খবরও পাওয়া যায় এদের কাছে। কোন খেলোয়াড় কবে কোথায় কখন উশটা খেয়েছিল অথবা কার কতজন প্রেমিকা সব তাদের নখদর্পণে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর