♦ সিনেমায় কোনো শিশু বড় হয় সাধারণত জোরসে এক দৌড় দিয়ে, পানিতে ডুব দিয়ে, কাঁথা-কম্বলের নিচ থেকে সকালে ঘুম থেকে ওঠে।
♦ নায়ক বা নায়িকার পরিবার থাকে একদম সৎ। সিনেমার প্রথমে পরিবারটি নানাভাবে নির্যাতিত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয় আর পরে নায়ক বা নায়িকারা সেই ক্ষতির প্রতিশোধ নেয়।
♦ অন্তত একজন থাকবেই যার কাজ হলো গণ্ডগোলটা সৃষ্টি করা। সে সবার কাছে ধরাটা খাবে সিনেমার একদম শেষ প্রান্তে।
♦ নারী-পুরুষ যে কেউ একজন খুব উত্তেজিত হয়ে খুবই উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করছে ২-১ জন তাকে থামানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিছুতেই কিছু হচ্ছে না, মানুষটা থামছেই না। হঠাৎ করে কেউ একজন একটা থাপ্পড় মারল। ব্যস! কেল্লা ফতে! আর কিচ্ছু করা লাগল না। তারপর কিছু সময় পর মুখ তুলে আঘাতকারীকে সম্বোদন করে কেঁদে কেঁদে বলবে, ‘তুমি আমাকে মারলে? তারপর আঘাতকারী হয়তো বলবে, ‘হ্যাঁ, মেরেছি বেশ করেছি। প্রয়োজনে আরও মারব।’ তারপর নিজেই দাঁড়িয়ে কাঁদতে থাকবে বা কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে অন্য কোথাও চলে যাবে।
♦ ‘চিৎকার কর না, আস্তে কথা বল’ অথবা "‘চিৎকার করবেন না, চৌধুরী সাহেব’— এই বাক্যগুলোর মাধ্যমে চিৎকার করতে সম্পূর্ণ নিষেধ করা হলেও নিষেধকারী চিৎকার করেই বলে।
♦ কোনো ছেলেমেয়ে হঠাৎ কোনো একটা চাকরি পেয়ে গেলে একটা কাগজ হাতে নিয়ে দৌড়ে বাসায় এসে অভিভাবককে সম্বোধন করে বলবে,‘ইয়াহু...! আমি চাকরি পেয়েছি...।’ অভিভাবক তখন বলবে, ‘আজ যদি তোর বাবা/মা বেঁচে থাকত।’
♦ কম করে হলেও অন্তত ১ জোড়া যুবক-যুবতীর নাচ আর গান থাকবেই থাকবে।
♦ শেষের মারামারিটার ঠিক শেষেই পুলিশ এসে প্রকৃত আসামিকে ধরবে যদিও সিনেমার প্রথমে বা মাঝে বিপরীত কাজটা করে থাকে।
লেখা : মোহাম্মদ সোহাগ
জৈনপুর, মোহনগঞ্জ, নেত্রকোনা