♦ গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে রিকশায় উঠলে লুকোচুরি করে উঠতে হয় কিন্তু জাস্টফ্রেন্ডের বেলায় এই ঝামেলা নেই
♦ গার্লফ্রেন্ডের বাসায় গেলে গার্লফ্রেন্ডের বাবার হাতে ধোলাই খাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু জাস্টফ্রেন্ডের বাসায় আপনি যখন ইচ্ছা যেতে পারেন সঙ্গে ধোলাইয়ের বদলে পেতে পারেন নাস্তা খাওয়ার সুযোগ।
♦ জাস্টফ্রেন্ডের সঙ্গে অনেক কিছু করেও সে আপনাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেবে না। ফলে আপনি থাকবেন ঝামেলা মুক্ত।
♦ গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে কোথাও ঘুড়তে গেলে খাবারের বিল আপনাকেই দিতে হবে। আপনি লজ্জায় গার্লফ্রেন্ডকে টাকা দেওয়ার কথা বলতে পারবেন না। কিন্তু জাস্টফ্রেন্ডের সঙ্গে জোড়াজুড়ি করে বিল খসাতে পারবেন। এক্ষেত্রে কেউ আড় চোখে তাকাবে না।
♦ একাধিক গার্লফ্রেন্ড থাকলে আপনাকে সবাই চরিত্রহীন বলবে। কিন্তু জাস্টফ্রেন্ড আপনার একাধিক থাকলে চরিত্রহীন বলবে না।
♦ বিশেষ দিবসগুলোতে গার্লফ্রেন্ডকে অনেক দামি জিনিস গিফট করতে হয়। কিন্তু জাস্টফ্রেন্ডকে দামি জিনিস গিফট করতে হবে না।
♦ গার্লফ্রেন্ড আপনার কাছে অনেক আবদার করতে পারে। কিন্তু আপনি নিরুপায়। আপনাকে সেই জিনিস দিতেই হবে। না দিলে পড়বেন আরও ঝামেলায়। কিন্তু জাস্টফ্রেন্ড এসব আবদার করার সাহস পাবে না।
♦ আপনার ফেসবুকে আপলোড করা ছবিতে লাইক কমেন্ট না পড়ার কারণে আপনি হয়তো মেয়েদের সঙ্গে ছবি তুলে আপলোড করতে চান। কিন্তু আপনার গার্লফ্রেন্ড থাকা সত্ত্বেও চক্ষুলজ্জার ভয়ে তার সঙ্গে তোলা ছবি আপলোড দিতে পারেন না। এক্ষেত্রে আপনি জাস্টফ্রেন্ডের সঙ্গে ছবি তুলে আপলোড করতে পারেন। চক্ষুলজ্জার কোনো ভয় নেই। ক্যাপশনে শুধু দেবেন- ‘জাস্টফ্রেন্ড।’
♦ গার্লফ্রেন্ডের সব সময় খোঁজখবর রাখতে হয়। তাকে অনেক সময় দিতে হয়। সময় না দিতে পারলে তৈরি হয় দুজনের মধ্যে ঝামেলা। জাস্টফ্রেন্ডের বেলায় এ ঝামেলা একদমই নেই।
♦ সবশেষে বলা যায়, বর্তমান যুগে গার্লফ্রেন্ড আর জাস্টফ্রেন্ডের পার্থক্যটা শুধু নামে। আধুনিক যুগে যদি ঝামেলামুক্ত থাকতে চান তাহলে জাস্টফ্রেন্ডই হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ।
♦ লেখা : তানজিনুর সাফি ইথুন
পাঁচবিবি, জয়পুরহাট