আমার এক বড় ভাই বললেন, আগেকার দিনের মানুষ কত কষ্ট করতো! আর এখন সবকিছু কত সহজ হয়ে গেছে। মানুষকে তেমন কোনো কষ্টই করতে হয় না। হাতের কাছেই সব পেয়ে যায়। আমি বললাম, আপনার কথার সঙ্গে আমি একমত। তবে কথাগুলো যে আপনি কোন প্রেক্ষাপটে বলছেন বা কিসের প্রেক্ষিতে বলছেন, সেটা কিন্তু বুঝতে পারছি না। বড় ভাই বললেন, আগেকার যুগে মানুষ বড় কোনো অপরাধ করলে তাকে বনবাসে পাঠানো হতো। আর এই কাজটা ছিল খুবই কষ্টসাধ্য। বড়সড় একটা বন খুঁজে বের করো, তারপর সেখানে পাঠাও। আর এখন বিষয়টা কত সহজ হয়ে গেছে একটু খেয়াল করো। এখন বড়সড় বন খুঁজতে হয় না, কাউকে আয়োজন করে বনবাসেও পাঠাতে হয় না। কেউ অপরাধ করেছে? কাউকে সাজা দিতে হবে? ব্যস, পাঠিয়ে দাও বাজারে। আমি নিজে গিয়ে টের পেয়েছি। আমি জানতে চাইলাম, আপনি কেন এই ঝামেলায় গেলেন? বড় ভাই বললেন, আসলে হয়েছে কি, দাম্পত্য জীবনে তো স্বামীরা টুকটাক অপরাধ করেই থাকে। যেমন- বউয়ের সুন্দরী বান্ধবীদের সঙ্গে হেসে হেসে কথা বলা, বিশেষ কোনো ফোন আসার সঙ্গে সঙ্গে বারান্দায় চলে যাওয়া, রাত করে বাড়ি ফেরা, তরকারি মজা না হলে বউয়ের মুখের ওপর বলে দেওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। তো এই ধরনের অপরাধ যখন আগে করতাম, আমার বউ গোমরা মুখে বসে থাকতো। আর এখন সে চালাক হয়ে গেছে। তৎক্ষণাৎ অর্ডার দিয়ে বসে, যাও, বাজারে যাও। আমার তখন কী মনে হয় জানিস? বাজারে না পাঠিয়ে যদি বলতো, যাও, বনবাসে যাও তবু শান্তি পেতাম। আমি বললাম, বাজারের প্রতি আপনার এই ভয়ের কারণ আমি বুঝতে পারছি। আসলে ভয়ের মূল কারণ জিনিসপত্রের দাম। আচ্ছা, কোনোভাবে কি দামটা কমানো যায় না? বড় ভাই বললেন, অবশ্যই কমানো যায়। তবে তার আগে কিছু বিষয়ে তোকে ছাড় দিতে হবে। রাসেলস ভাইপারের কথাই বলি। রাসেলস ভাইপারের সঙ্গে বসবাস করতে তোর যদি কোনো আপত্তি না থাকে, তাহলে জিনিসপত্রের দাম কমতেই পারে। আমি অবাক হয়ে বললাম, এসব আপনি কী বলছেন? জিনিসপত্রের দাম কমানোর সঙ্গে রাসেলস ভাইপারের কী সম্পর্ক? বড় ভাই বললেন, আছেরে, সম্পর্ক আছে। গভীর সম্পর্ক। তাহলে তোকে ছোট করে একটা ঘটনা বলি। আমার প্রতিবেশী সিদ্ধান্ত নিল বাজার থেকে আর কিছুই কিনবে না। কাঁচা মরিচ, বেগুন, পটোল, পুঁইশাক সবই নিজে ফলাবে। এরপর বারান্দায় টব রেখে চাষাবাদও শুরু করে দিল। এতে বারান্দা এমন জঙ্গল হয়ে গেল যে, রাসেলস ভাইপার কেন, রয়েল বেঙ্গল টাইগারও লুকিয়ে থাকতে পারবে বারান্দায়। আমি বললাম, সব সমস্যার বড় সমস্যা হচ্ছে বাজার। বাজারটা যদি একটু ঠান্ডা হতো, তাহলে এত ঝামেলা পোহাতে হতো না। বড় ভাই বললেন, বাজারের এই গরম বেশিদিন থাকবে না রে পাগলা। দ্রুতই ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে বাজার। আমি খুশি হয়ে বললাম, তাই নাকি? কবে থেকে? বড় ভাই বললেন, আগামী মাস থেকেই। তখন থেকে হালকা শীত পড়তে শুরু করবে তো!
শিরোনাম
- রাষ্ট্র গঠনে বিএনপির ৩১ দফা প্রচারে রামপালে সমাবেশ
- বিমানবন্দর থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
- নারায়ণগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত শিক্ষার্থীর মৃত্যু
- খুলনা রেলস্টেশনের স্ক্রিনে ভেসে উঠলো 'ছাত্রলীগ ভয়ংকর রূপে ফিরবে'
- হেফাজতে ইসলামের খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটি গঠন
- ঢাকায় পৌঁছেছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট রামোস হোর্তা
- দখল-চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : গণতন্ত্র মঞ্চ
- পুলিশকে মারপিটে উসকানির অভিযোগে তাহেরীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ৩
- কৃষক দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নবীউল্লাহ নবীর মতবিনিময়
- ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতের দালাল’
- অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে কড়াইল বস্তিতে ফায়ার সার্ভিসের গণসংযোগ
- ফরিদপুরে ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচারের প্রতিবাদ যুবদলের
- ‘খুনি হাসিনা দেশ থেকে পালালেও ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়নি’
- পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তাদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- চট্টগ্রামে পুকুর থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
- ‘হাসিনা ভারতের পুতুল, যেভাবে নাচায় সেভাবে নাচে’
- মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসবে : গভর্নর
- চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত
- সুনামগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় চারজন গ্রেফতার
- কমল স্বর্ণের দাম