গো’মাতার গান খুব প্রিয়, একান্ত মনোযোগ বাধা অন্তরঙ্গ ভালোবাসায়
গান শোনে কামধেনু। এ তথ্য প্রদাতা পল্লীকবি (জসীমউদ্দীন)। তিনি
দুটো ট্রানজিস্টর ঝুলে রাখতেন গাভীশালায়। সংগীত পিপাসু গাভীরাএকপোয়া দুধ বেশি দিয়ে পুষ্টির অভাব মেটাতো প্রতিদিন সংসারে।
দুগ্ধপোষ্য শিশুদের চিরদিন দুধেভাতে রাখার মানতে মায়েরা গৃহে
পোষা গাভী সেবায় ছায়ার মতো লেপ্টানো দেবী মাদার তেরেসাকে
হার মানায়, দুধের লহর বহে বঙ্গপোসাগরে।
সংগীত প্রিয় গাভীদের দুধ পিয়ে কবি লিখেছেন পল্লীগীতি, যা এতটা
জনপ্রিয়। ছই নৌকার মাঝি মাল্লা গৈগেরামের রাখালের মুখে ফিরে
সুকণ্ঠে গেয়েছেন আব্বাস উদ্দিন ‘আমায় এত রাতে কেনে
ডাক দিলি প্রাণ কোকিলারে’ গানে উতল রাত গভীরে জসীমের প্রাণ
কোকিলারা। মেয়ে ও জামায় দুদকের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মানি
লন্ডারিঙের অন্যতম আসামি। দুধেল গাভীটা দড়ি বাঁধা দুদকের
ফাটকে জাবর কাটে, মায়াবী চোখের জল মোছে গৃহিণীরা।