শুক্রবার, ৮ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

শেষের শিশিরের অপেক্ষায়

শামীম আজাদ

শেষ গাধাবালা ক্রন্দন করছে, কেঁদে কেঁদে গল্প বলছে

কান্নার মত কোমল কিছু নেই, ওকে বলতে দাও

তার পারিবারিক শব্দগুলো শোনা যাচ্ছে কিন্তু কোনো কিছুই পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে না

ঠাহর করেই চলার সময় এখন, এভাবেই রাস্তা কাটতে হবে

রাস্তার ঐ বৃষ্টি জমা জলেই সন্তরণ অব্যাহত রাখতে হবে

শেষ শামিয়ানাটা টানানো হলেই কিন্তু গরুদের পালা আসবে

তারপর হয়তো আসবে দুম্বারা

টুম্বা বাজিয়ে বাজিয়ে গল্প বলবে আর

বলা মাত্রই ইউ-টিউবে অনলাইনে তা চলে যাবে মধ্যপ্রাচ্যে

মেয়ে পশুরা নিয়ত করে সেখান থেকেই দামি গয়না পরে আসবে

তাদের দেখতে আসবে পলিটিক্স ডিফিক্যাল্ট করা ঋণ খেলাপিরা

তৃণমূল নারীদের নিম কাণ্ডে দন্ত-মাঞ্জন করে বলে এই পশুদের দাঁত উত্কৃষ্ট প্রকৃতির

এদের চোখগুলো পটলচেরা জল ছলছল ও করুণ

তাদের জন্য জনতার জরায়ু থেকে বিশ্বাস ফেটে পড়লেও পড়তে পারে

তখন কষ্ট হলেও কিন্তু ধরে রাখতে হবে নিজেকে নিরন্তর

অব্যাহত সাঁতার থেকে উঠে এসো না সোনা

কাছাকাছি দু-একটা ছোট নৌযান পেলেও লোভ সংবরণ করতে যদি পারো

তবেই মানুষের কাল আসবে, পুনর্জন্ম হবে আমাদের পিতার

খরায় পোড়া মাঠে শেষের শিশিরের অপেক্ষায়

যোজন যোজন বেদনা ও মিথ্যাচার সহ্য করতেই হবে

রাজকর্মের অনভ্যাসে আমাদের পিতাই যে একদিন

আমাদের খোয়াব খণ্ডন করেছিলেন

আর আমরা এভাবে জলে পড়ে গেছি তা মানতেই হবে

বেড়িবাঁধ ভেসে উঠবে গরুদেরই কালে, মোবাইলে মোবাইলে

পশুদের কাল শেষে হাওয়া পাব পূর্ণিমা-পালে

জল ছেড়ে উঠে এসে পুষ্পরাগে পাখিদের ডাকবেন পিতা

বলবেন, মানুষের মসজিদে পশুদের বিশ্বাস করা দূরে থাক

এমনকি প্রবেশপত্রও দিতে হয় না

কিন্তু তিনিই তাঁর বুকের বোতাম খুলে দিয়েছিলেন বলেই

আমরা জন্মান্ধতা পেয়েছিলাম

হাতের ঠাহরে দিয়েছি অন্ধ সাঁতার

গাধাদের, গাভীদের, উটদের চেঁচানো শুনেছি

ভাবিনি রোদ উঠেছে কি উঠেনি, শিশুরা ফরমালিন খাচ্ছে কি খাচ্ছে না

দাউ দাউ পুড়ে যাচ্ছি কি যাচ্ছি না শুধু সাঁতার করে গেছি

কিন্তু তাতেই হয়তো এই প্রজাতন্ত্রে পাখিদের ডাকতে আসবেন কোনো নতুন জনক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর