শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

একাত্তরের পরদেশী

বিপ্রদাশ বড়ুয়া

একাত্তরের পরদেশী

পরদেশী আমার নাম। বাবা ছোটন ডোম এই নাম রেখেছেন আমার। দেশে এবং দেশ ছেড়ে বিদেশে গেলেও আমার নাম থাকবে পরদেশী। গলিত পচা ও সদ্য লাশ সাফ করা আমার কাজ। এই দুই হাতে মলমূত্র থেকে সব রকম আবর্জনা দূর করাই আমার জীবিকা। আবার এই হাতেই আমি ভাত খাই। বউ-ছেলেকে আদর করি, পূজা-অর্চনাও করি। আকাশের চাঁদ-তারা দেখি। পাখির গানও শুনি। শহুরে নোংরা কাকও আমাদের সঙ্গী। কাকেরাও পচা-গলা খেয়ে শহর পরিচ্ছন্ন রাখে।

একাত্তর সালের ২৭ মার্চ সকাল। ঢাকায় পাকসেনাদের বীভৎস হত্যাকাণ্ডের পর পৌরসভার প্রশাসনিক অফিসার ও কয়েকজন ট্রাক নিয়ে হাসপাতালের গেটে এসে বাঘের মতো ‘পরদেশী পরদেশী’ বলে গর্জন করতে থাকে। আমি ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে আমার সরকারি ঘর থেকে বেরিয়ে আসি। অফিসার ইদ্রিস আলী সাহেবের এই রাগী রূপ আগে কোনো দিন দেখিনি। তিনি কড়া ভাষায় বলতে থাকেন, ‘তোমরা সব ডোম-সুইপার বের হও জলদি। যদি বাঁচতে চাও এখুনি সবাই মিলে ঢাকার বিভিন্ন এলাকার লাশের স্তূপ গাড়িতে উঠিয়ে ধলপুর ময়লা ডিপোতে ফেলে দাও। নয়তো কাউকে বাঁচানো যাবে না, তোমরা কেউ বাঁচতে পারবে না।’

পৌরসভার সেই ট্রাকে গুটিসুটি মেরে বসে আছে ভরত, লাডু ও কিষণ ডোম। দু-হাতে গাঁইতি ধরা ভয়ে ভাবলেশহীন ওদের চেহারা, উবু হয়ে বসা। গত দু-রাতের ঢাকার অবস্থার বিবরণ আমি দিতে পারব না। আমি তার নির্দেশ অমান্য করার কোনো উপায় না দেখে ট্রাকে উঠে বসলাম। ট্রাকের পেছনের ডালাটা খোলা। এগিয়ে চলল ট্রাক। পেছনে সরে যাচ্ছে অদেখা কোনো এক মৃত্যুপুরীর মতো শহর। ভয়ের স্বপ্নে কখনো কদাচিৎ যে রকম দেখা যায় তার চেয়েও ভয়ঙ্কর। না দেখেও উপায় নেই। রাস্তার পাশের দোকানপাট ও ফুটপাথের কাটা গাছ পুড়ে ছাই। এক জায়গায় পড়ে আছে মানুষের ছিন্নভিন্ন মুণ্ড, ছড়িয়ে আছে মাংসের টুকরো-টাকরা। ডোম হয়েও গা শিউরে উঠল। ভয়ে না ঘেন্নায় বলতে পারব না। নাকে চেনা-অচেনা দুর্গন্ধ এসে থিক থিক করছে। অথচ স্বাভাবিক অবস্থায় এসব আমাদের কাছে কিছুই না, নস্যির মতো।

পৌরসভার অফিসে এসে আঠারো জন হলাম। ছয়জন করে তিন দল হলাম। প্রতি দলে দুজন করে সুইপার ইন্সপেক্টর। তিনটি ট্রাকে তিন দলকে বাংলাবাজার, মিটফোর্ড ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পাঠিয়ে দিল। আমি পড়লাম মিটফোর্ড ট্রাকের ভাগে। না জানি কি আছে কপালে। আবার ভাবলাম ডোমের কপালে খারাপ ছাড়া বেশি কি আর থাকবে। লাশ আর মড়া-পচা নিয়ে পঁচিশ বছরের অভিজ্ঞতা আমার। সেই আমি মিটফোর্ডের লাশঘরে ঢুকে ভূমিকম্পের মতো কেঁপে উঠলাম। আমার সঙ্গে পঞ্চা, সেও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁপছে। সামনে শুধু লাশ আর লাশ, তারাও কাঁপছে। নাকি উঠে আসার কসরত করছে...। কাঁপতে কাঁপতে আস্তে করে ডাকলাম, ‘পঞ্চা রে ...।’ পঞ্চা বলল, ‘এরা মৃত নয়, স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদ ...।’

বুকে পিঠে মেশিনগানের গুলিতে ঝাঁজরা শখানেক যুবকের লাশ, সাগর থেকে ধরে আনা ইলিশের স্তূপ যেন। নেমে পড়লাম কাজে। একটি একটি ধরে দুজনে বের করে দিচ্ছি দরজার বাইরে, যেন পাচারকারী আমরা। দুদিনের বাসি। প্রথমে দুর্গন্ধকে কিছুই মনে করিনি। মাতৃভূমির প্রথম রাতের শহীদ, গায়ে হাত দিয়ে পঞ্চার দেখাদেখি আমি কপালে হাত ঠেকালাম, ‘না, আর গন্ধ নেই জয় বাংলার নামে।’ শুনে পঞ্চাও বাইরে শোনা না যায় মতো বলল। চরম দুঃখের মধ্যেও পরম এক সান্ত্বনা। মনে মনে ভাবলাম তেলেগু হলেও আমি পরদেশী নই, এই দেশি। এ জন্যই আমার বাবার রাখা নামের জন্য এই অভিযোগ। বাবা আজ বেঁচে নেই, থাকলে এই কথা বলতাম।

অত্যন্ত যত্ন করে লাশগুলো তুলে দিচ্ছি দুজনে। পায়ের দিকে একজন, অন্যজন মাথার দিকে। যেন ব্যথা না পায় তেমন সতর্ক আমরা। লাশের গায়ে অবহেলায় পা পড়লে হাত কপালে ঠেকাই। এটা আমার সহজাত হয়ে গেছে। একটা টিকটিকি ডেকে উঠল, সঙ্গে সঙ্গে গা শিউরে উঠল। বিজলি বাতির দিকে ছুটে এসে পোকাটি ধরে ফেলল। একটা থাপ্পড় দিতে ইচ্ছে হলো, অথচ ঘরে কখনো এতকাল এরকম মনে হয়নি ওকে। পঞ্চাও তাকাল টিকটিকির দিকে। অন্য সময় হলে এরকম কাজে দু-চার ঢোক দারু না খেয়ে নামতাম না। এখন আমি ঘাতক পাকিস্তানিদের সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে, পুরোপুরি জয় বাংলার। জয় বঙ্গবন্ধু।

সব লাশ বের করে দিলাম দুজনে। সময় কোনদিকে কত দূর গেছে জানি না। দেখি পাশে একটা লম্বা টেবিলের ওপর সাদা চাদর দিয়ে ঢাকা লাশ। সাদা চাদর না তুলেও পরিষ্কার বুঝতে পারছি মেয়ে। আস্তে আস্তে গিয়ে চাদর তুলতেই দেখি এক ষোড়শী। রূপসী ও উলঙ্গ। বুক ও স্পর্শকাতর অঙ্গ রাক্ষুসে ক্ষতবিক্ষত। নিতম্বের মাংসও। স্তন দুটি কেটে নিয়েছে কি ক্ষীরি কাবাব করে খাওয়ার জন্য! তাতেও সে রূপসী। কোমর ছাড়িয়ে নেমে গেছে ঝরনাধারার মতো কালো চুল। হরিণীর মতো মায়াময় টানা চোখ  আধখোলা, যেন ঘুম ভাঙছে প্রশান্ত মহাসাগরের ঘুম থেকে, কিন্তু ওই পর্যন্তই। আর কোনো দিন খুলবে না। দুদিনের বাসি মড়া বলে মনে হলো না, যেন এখনো গা শীতল হয়নি একেবারে। চোখে পানি নেমে এলো অজান্তে। পঞ্চা তাকিয়ে আছে আমার দিকে। ওর চোখেও অশ্রু, যেনবা আগুনের অশ্রু নদী। আমি একাই পাঁজাকোলা করে তুলে নিলাম আদার করে। এক পা এক পা করে চললাম দরজার দিকে। চোখের পানি তখন থেমে গেছে। আমাদের সুপারভাইজারের ভয়ঙ্কর কর্কশ গর্জনের মুখ ও চোখ অবহেলা করে নিয়ে চললাম ট্রাকের দিকে। মনে মনে ‘বোনটি’ বলে ট্রাকের উপর অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে উপুড় করে শুইয়ে দিলাম। একবার ভেবেছিলাম, ওই দুটি আধখোলা চোখে শেষবারের মতো জয় বাংলার আকাশ দেখতে দেখতে শেষ যাত্রা করুক। তাই করলাম শেষ পর্যন্ত।

মিটফোর্ড হাসপাতালের সব লাশ তুলে নিয়ে ভৌতিক ঢাকা শহরের রাস্তা দিয়ে ছুটল ট্রাক। কাক উড়ে এসে বসল না একটিও। সকাল থেকে পেট পুরে খেয়ে ওরা পছন্দমতো জায়গায় বসে বসে ঠোঁট দিয়ে পাখা পরিচর্যা করছে। মাঝে মাঝে ঠোঁটও ঘষে নিচ্ছে বসার জায়গায় পাশটিতে। ওরা মানুষের মাংস খায়নি বলে যদি জানতাম তাহলে এখন এটিই বলতাম বাংলাদেশের সেরা দৃশ্য। আমি তো জানি কুকুর-বেড়ালও এখন পেট ভরে মানুষের মাংস খেতে পাচ্ছে। আমরা ধলপুরের ময়লায় ভাড়ারে নিয়ে গিয়ে বিরাট গর্তে ঢেলে দিলাম। দেখলাম বিরাট গর্তে মেথর ও ডোমেরা ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে লাশ এনে ফেলছে। সবার মুখ ভার, থমথমে, ভিতরে প্রচণ্ড আক্রোশ ও বেদনা। সেই সব লাশের বেশির ভাগের গায়ে কাপড় দেখিনি। নারীদের তো নয়ই। তা তো ঠিকই, মৃতের লজ্জা নেই। লজ্জা আমাদের, জয় বাংলার সমর্থকদের। পঞ্চা ও আমি ছায়ার মতো লেগে কাজ করে যাচ্ছি। একটা দাঁড়কাক আ-আ-আ ডেকে চুপ করে গেল। সে কি তার পরিবারকে খুঁজছে! অথবা পেট পুরে খেতে পাচ্ছে বলে সুখ। নাকি যুবতী নারীর শরীরে কাপড় নেই বলে ধিক্কার। তাদের প্রত্যেকের শরীর ক্ষতবিক্ষত, বিশেষ করে কোমলতম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। কাক-কুকুরও দেখে কী ভাবছে ওরাই শুধু জানে।

দুপুর দুটোর সময় রেসকোর্সের রমনা কালীবাড়িতে চলে আসি পৌরসভার ট্রাক নিয়ে। কালীবাড়ির দরজায় ট্রাক দাঁড় করিয়ে, দুজন সেখানে রেখে, আমরা চারজন গেলাম ভিতরে। ভিতরে সবকিছু পুড়ে ছাই তার মধ্যে নানা জায়গায় ছড়ানো-ছিটানো ৪১টি পোড়া লাশ। সেগুলোও যতখানি সম্ভব যত্ন করে ট্রাকে তুলে নিলাম। তুলতে তুলতে আমি চলে গেলাম প্রেতপুরীতে। পাপীদের যেখানে নানারকম শাস্তি দিয়ে হত্যা করা হয়। সারা শরীর আগুনে পুড়ছে আর পাপীরা চিৎকার, কান্নাকাটি, সাহায্যের প্রার্থনা করছে। দয়া ভিক্ষা করছে! ছুটে চলেছে আগুনের গোলা মানুষ লক্ষ্য করে, জ্বলন্ত তেলের কড়াইতে সেদ্ধ করা হচ্ছে! করাত দিয়ে মানুষকে দু’টুকরো করছে! বর্শা ঢুকিয়ে দিচ্ছে পায়ুপথ বা জননযন্ত্র দিয়ে...! জায়গাটা যেন শাঁখারি বাজারের মতো, যেখানে আমাকে যেতে হয়েছিল ২৯ মার্চের বসন্তের সকালে। বসন্ত আছে, কিন্তু নেই। পঞ্চা পাশে পাশে আছে, কিন্তু খুব ভয় পাচ্ছে।...

তবে আমরা এইটুকু ভরসা পাচ্ছি, কসাই পাকিস্তানি সৈন্যরা আমাদের মারবে না। ওদের হত্যা ও কুকর্ম আমরা সাফ করছি। আবার ভাবছি, কাজ শেষে আবার আমাদের গায়ে হাত দেবে না তো! আমাদের মেয়েদের! বিশ্বাস কি? যে-কোনো কুকর্ম ওরা করতে পারে তা এই কদিনে বুঝে নিয়েছি। এখন আমাদের বড় ভয় ওখানে, আমাদের মেয়েদের নিয়ে। আমাদের বিদ্যাবুদ্ধি আর কত! পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছি। আমাদের জাতে একজনও বিএ-এমএ পাস নেই। আমার বিদ্যাবুদ্ধি বলে, এই যুদ্ধ সহজে শেষ হবে না। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র শুনি চুপি চুপি। স্বপ্নে দেখি, আকাশ থেকে সৈন্য নামছে। বুঝতে পারি না ওরা জয় বাংলা নাকি শত্রু পাকিস্তানি। আমরা তেলেগু ও তামিলরা এই দেশি। এই কদিনে বুঝে নিয়েছি শত্রুদের জঘন্য চরিত্র। নিষ্পাপ মেয়েদের এরকম অত্যাচার যারা করে তাদের জয় কখনো হতে পারে না। ঈশ্বর বা অদৃশ্য কেউ না থাকলেও ভালো ও মন্দ তো আছে। বিচারপতি ও বিচারক আছেন দেশে। শাঁখারী বাজারে দেখলাম নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী ও শিশুর বীভৎস পচা লাশ। মেয়েদের দেখেছি সম্পূর্ণ উলঙ্গ, তাদের বুক থেকে বুক তুলে নিয়েছে। তাতেও সন্তুষ্ট থাকেনি। বিহারিরা প্রত্যেক ঘরে ঢুকেছে। সোনা-রুপো থেকে তামা বা আসবাবপত্র কিছুই ফেলে যায়নি। বহু পোড়া লাশ ছড়িয়ে আছে চারদিকে। তার মধ্যে পাঞ্জাবি সেনারা লাফিয়ে লাফিয়ে এগিয়ে গিয়ে গুলি করছিল। সেই অবিরাম গুলিবর্ষণ ও বিহারিদের লুটপাটের মধ্যেও আমরা দু-ট্রাক লাশ তুললাম। মা-বোনদের শ্রদ্ধা করে তুললাম আমাদের সাধ্য অনুযায়ী। আমাদের পেশাটাই সবার কাছে খুব নোংরা। কিন্তু সবাই বোঝে না যে আমরা পরিষ্কার না করলে ভদ্রলোকদের কী অবস্থা হবে। আপনারা মেথরদের অন্তত মাটির বাড়িতেও কোনো দিন কৌতূহলবশত ঢুকে দেখেছেন? দেখেননি! তাহলে আপনাদের শূচিতা নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা ওই মাটির ঘরের দেয়াল ও মেঝে সব সময় ঝকঝকে তকতকে রাখি। অনেক ভদ্রলোকের ঘরও এরকম শুভ্র থাকে না। তবে সবকিছু পারি না তা বলতে একটুও গাফিলতি করব না। আমাদের মতো ঘরবাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখা আপনাদের সাধ্যাতীত জানুন।

এসিড দিয়ে পোড়া কালো ঝলসে যাওয়া লাশ দেখেছি। ওরা সবাই তরুণ। জয় বাংলার নামে ওই দামালরা সবার আগে ছিল এবং তারা আগে মরেছে। বুড়িগঙ্গার তীরে মিল ব্যারাকে ওদের লাশ তুলেছি। সেটা ছিল ৩০ মার্চ। মেশিনগানের গুলিতে ঝাঁজরা বুক অনেকেই দেখেননি। আমরা ডোম-মেথররা দেখেছি। মাথা চূর্ণ লাশ? বেটন-বেয়নেটে বিদীর্ণ লাশ? পাঁচ-ছয়জন রূপসীর লাশ এক সঙ্গে দেখেছেন? আর তারা যদি বেকায়দা জায়গায় ক্ষত-বিক্ষত হয়! নারীর বক্ষ সম্পদ তো ভবিষ্যৎ বংশধরের জন্যই আস্তে আস্তে তৈরি হয় ঈশ্বরের পরম মমতায়, সঙ্গোপনে, যত্নে। এরকম লাশ আমাকে আবার বয়ে নিয়ে যেতে হয় সেই ধলপুর ময়লা ডিপোতে। সদরঘাট, শ্যামবাজার, রোকেয়া হলের পেছনে স্টাফ কোয়ার্টার, অধ্যাপকের বাসা, বাদামতলী ঘাট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের লাশও আমি তুলে নিয়েছি। দেশের কয়জন মানুষ এসব জানে বা দেখেছে? মনে কি রেখেছে?

এসব লাশ তুলতে তুলতে আমি এক রকম দিব্যজ্ঞানের অধিকারী হয়ে গেছি। পড়ে হাসছেন? তা পারেন। আমাদেরও এক ধরনের জ্ঞানগম্যি বাড়ে। চাষিদেরও, তাঁতি, কুমোরদেরও। নদীর মাঝি আরও বেশি জ্ঞানী হয়ে ওঠে। কেউ মানুক না মানুক আমি মানি। আমি যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন এসব আমার স্বপ্নের মধ্যে আনাগোনা করবে। আর এসব কোনটা আমার জীবনে ঘটেছিল, কোনটা আমার কল্পনা ভাবছেন তো? ভাবুন। আমার দুঃখ-কষ্টের জন্য কি জয় বাংলা বসে থাকবে? আমি একটি পরদেশীর জন্য দুনিয়ার কেউ অপেক্ষা করে থাকবে না।

আর তামিল-তেলেগুদের জন্যও জয় বাংলা এসেছে ভুলে যাবেন না তো? পঞ্চাও পরদেশী এসব কথা নির্যাতনের দলিল বইয়ে সাক্ষ্য দিয়ে সই-মুড়ি করেছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর