যে সব অঞ্চলে রেলপথ গেছে সেখানে চায়ের গাছ প্রতিশ্রুতিময়,
অজস্র কাপের প্রান্তে দ্যুতিময় ঠোঁটের সংরাগ, অমর্ত্যলোক ঘুরে আসা
বৃক্ষেরা কখনো জানলো না বেড়াবার মাঠ খোলা আছে, প্রকৃতিবিরুদ্ধহলে উহাদের ভালো হতো; বেড়ানোর এত মুক্ত প্রান্তর পৃথিবীতে আছে।
মানুষ ঘুরছে রেলে, নিজের বাড়িতে যে কখনোই চেয়ারে বসে না
রেলের চেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি করে, দৃশ্যের নিকটে গিয়ে বসে
সেও চায় চা বাগান ঢেলে দিক সবুজ নির্যাস, অতিতরল বনের চঞ্চল
ঘ্রাণ নেবে, যে নক্ষত্রের দিকে অজস্র শিশু চা-গাছ তাকিয়ে রয়েছে;
সেখানে আজ অবলুপ্ত চায়ের বৈঠক, মহাজাগতিক অতিথিরা ঠোঁট
নামিয়েছে, ভঙ্গুর ট্রেনে সেসব অঞ্চলে যারা আজো অন্ধঘূর্ণমান
নশ্বর পৃথিবীর নাভিকেন্দ্রে তাদের প্রকৃত মুখ বিগলিত ঘনশ্যাম,
স্বাদু লিকারের খোঁজে লুপ্ত ভ্রমণভঙ্গি রপ্ত করে নেমে গেছে পথে
শেকড়-সংলগ্ন বৃক্ষদের চোখের উপরে এদের উদাসীন ভঙ্গি নাচে
অথচ মানুষ জানলো না উড্ডয়নের অজস্র পৃথিবী মহাবিশ্বে আছে।